বাহারি পিটুনিয়া ফুটে থাকলে দেখতে দারুণ লাগে। বাড়ি হোক বা বাগান— সৌন্দর্য বদলে দিতে পারে গাছজুড়ে পিটুনিয়া।
* পিটুনিয়ার চারা
ফুল পেতে ভালো গাছ জরুরি। নার্সারি থেকে পছন্দের রঙের ভালো পিটুনিয়ার চারা কিনে আনুন। চারা ভীষণ ছোট হলে প্রথমেই বড় টবে লাগানো যাবে না। সেক্ষেত্রে কাগজের কাপ অথবা ছোট ভাঁড়ে ভার্মি কম্পোস্ট এবং সম পরিমাণ মাটি মিশিয়ে তাতে চারাগুলো বসিয়ে দিন। সামান্য পানি দিতে হবে। তবে ছোট চারা চড়া রোদে রাখা যাবে না।
* পিটুনিয়ার মাটি
পিটুনিয়ার মাটি তৈরির জন্য দুই ভাগ জৈব সার, এক ভাগ মাটি এবং এক ভাগ কোকো পিট মিশিয়ে নিতে হবে। পিটুনিয়া গাছের গোড়ায় পানি জমলে ক্ষতি হতে পারে। তাই টব অথবা ছড়ানো প্লাস্টিকের পাত্র, যাতেই গাছ বসান না কেন, ছিদ্র থাকা জরুরি। মাটি দেওয়ার সময় নিচে ছোট পাথর দিয়ে দিতে পারেন। এতে ছিদ্র দিয়ে মাটি যেমন বেরিয়ে যাবে না, তেমনই পানিও জমবে না।
* গাছের গোড়ায় পানি
পিটুনিয়া গাছে পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে। যেন মাটিতে পানি না বসে। গাছের গোড়ায় পানি জমলে ক্ষতি হতে পারে।
* রোদ
নতুন গাছ বসানোর পর সরাসরি রোদে রাখলে চলবে না। এমন স্থান বাছাই করতে হবে, যেখানে সূর্যের তাপ পেলেও, সরাসরি সূর্যালোক থাকবে না। তবে গাছ বড় হয়ে গেলে অন্তত ৬ ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন।
* সার
গাছের ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সার দরকার হয়। যদি মনে হয় গাছের বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে না, তা হলে ৪-৬ সপ্তাহ পরে তরল জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন।
* গাছভর্তি ফুল
রোগ বা পোকার আক্রমণ না হলে, ৪০-৫০ দিনেই গাছ বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে শুরুতেই যদি একটি, দু’টি ফুল ফুটতে থাকে, তা হলে গাছ ভর্তি ফুল পাওয়ার সম্ভবনা কম। ফলে প্রয়োজন মতো কাটছাঁট দরকার। অসময়ে কুঁড়ি এলে তা বাদ দিতে হবে। তা হলে একটা সময়ের পরে গাছভর্তি ফুল পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এএটি