ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খান?

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খান?

সকাল বা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে ‘টা’ না হলে ঠিক জমে না? আর বাঙালির ‘টা’ মানেই হলো খাস্তা, মুচমুচে বিস্কুট বা চপ। এখন তো আবার চায়ের আড্ডায় শৌখিন কুকিজ, কেক দিব্যি চলছে।

গরম চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে না খেলে কী আর ভালো লাগে? এখন কথা হলো, চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার এই অভ্যাস কি ভালো? সে যেমন বিস্কুটই খান না কেন, তাতে শরীরে লাভ হয় নাকি ক্ষতি?

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ জানালেন সকালে হোক বা সন্ধ্যা চায়ের সঙ্গে ভুলেও ময়দার বিস্কুট খাবেন না। কুকিজ, কেক তো নয়ই। এখন অনেকে বলবেন, থিন অ্যারারুটের মতো আটা দিয়ে তৈরি বিস্কুটও কি ক্ষতিকর? 

পুষ্টিবিদ জানালেন, থিন অ্যারারুট বা ক্রিম ক্র্যাকারের মতো বিস্কুট ততটা ক্ষতিকর নয়, তবে এগুলোতেও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে না। আর চায়ের সঙ্গে ময়দা বা আটার বিস্কুটের যুগলবন্দি শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এই দুইয়ের মিলমিশ ঠিকমতো হজমই করতে পারে না পাকস্থলী। ফলে বদহজমের সমস্যা, গ্যাস-অম্বল বেড়ে যায় অনেকখানি।

বিস্কুটের আরও কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। পুষ্টিবিদের কথায়, কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ বিস্কুট যখন চায়ে ডুবিয়ে মুখে পুরছেন, তখন অনেকখানি ক্যালোরি শরীরে ঢুকছে। শুধু তা-ই নয়, বিস্কুটের অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর যদি দুধ-চিনি দেওয়া চায়ের সঙ্গে বিস্কুট রোজ খেতে থাকেন, তা হলে তো কথাই নেই। কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে তা হৃদরোগের কারণও হয়ে উঠতে পারে।

বিস্কুটে শর্করার মাত্রা খুব বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের তো বটেই, শরীরে অন্য কোনো অসুখ থাকলেও বিস্কুট খাওয়া এড়িয়েই চলতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বিস্কুটে এত বেশি চিনি থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। নোনতা বিস্কুটও সুরক্ষিত নয়। তাতে লবণের মাত্রা বেশি থাকে। পাশাপাশি গ্লুটেনের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। গ্লুটেনও সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে হজমের প্রক্রিয়ায়। চায়ের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট বিস্কুট খান। সেটি আরও ক্ষতিকর। টোস্ট বিস্কুট তৈরি হয় পাউরুটি দিয়ে। আর তৈরির প্রক্রিয়াও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই এই ধরনের বিস্কুটও না খাওয়াই ভালো।

বিকল্প কী হতে পারে?

পুষ্টিবিদের পরামর্শ, চায়ের সঙ্গে একমুঠো শুকনো মুড়ি খেতে পারেন। অথবা শুকনো খোলায় ভাজা ছোলাও চলবে। চিড়ে ভাজা রাখতে পারেন হাতের কাছে। বাদামও স্বাস্থ্যকর। শুকনো ফলের সঙ্গে মিশিয়ে বাদাম খেতে পারেন। তবে একমুঠোর বেশি নয়। যা-ই খান, পরিমিতই খেতে হবে।

চেষ্টা করতে হবে দুধ-চিনি ছাড়া লিকার চা খেতে। তা-ও দিনে দু’বারের বেশি নয়। আদা, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গ ফুটিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর। তার সঙ্গে একমুঠো শুকনো ফল বা ছোলা খেয়ে নিতে পারেন। তবে বিস্কুট নৈব নৈব চ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।