ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ত্রিশোর্ধ্ব হলে মেয়েদের যে পরীক্ষা করা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
ত্রিশোর্ধ্ব হলে মেয়েদের যে পরীক্ষা করা জরুরি সংগৃহীত ছবি।

অজ্ঞতা ও সংকোচের কারণে মেয়েরা চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না, ফলে বাড়ে বিভিন্ন জটিলতা। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন কম।

হরমোন বিষয়ে মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। এছাড়া ত্রিশোর্ধ্ব হলে মেয়েদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। তাই স্বাস্থ্য সম্পর্কে এ সময় বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।  

শরীরচর্চা, খাওয়া-দাওয়া, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে যেমন নজর দেওয়া প্রয়োজন, তেমন নারীর কিছু শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে রাখা উচিত। সেগুলো নিচে দেওয়া হলো।  

ম্যামোগ্রাম

অনেক সময়েই নারীর স্তনে একটি ছোট্ট লাম্প বা ফোলাভাব দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনেকেই পাত্তা দেন না। কিন্তু এই গাফিলতিতে এটি বড় আকার ধারণ করে এবং তা স্তনের ক্যানসারে পরিণত হতে পারে। অনেক সময়েই স্তনের ফোলাভাবটি ম্যালিগন্যান্ট হয়। যদি কখনো স্তনে ব্যথা হয় বা কোনো অবাঞ্ছিত অংশ বা মাংসপিণ্ড দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন এবং ম্যামোগ্রাম টেস্ট করিয়ে নিন।

জরায়ুতে ক্যানসার পরীক্ষা 

নিময়িত প্যাপ স্মিয়ারের মাধ্যমে নারীর জরায়ু পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কি না, তাতে আভাস পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ৩০ বছরের পর এইচপিভি পরীক্ষা করে দেখা যায় ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা আছে।

গর্ভধারণের পরীক্ষা

৩০ বছর বয়সের পর নারীদের শরীরে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষমতা কমতে থাকে। মাতৃত্ব পরিকল্পনা করার আগে অবশ্যই কিছু শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে দেখে নিতে হবে শরীরে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না।

লিপিড প্রোফাইল

সুস্থ জীবন থাকতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। তাই সব ঠিক আছে কি না দেখা জন্য লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।

থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট ও হিমোগ্রাম

অনেক মেয়ের মধ্যে অ্যানিমিয়া এবং থাইরয়েডের মতো রোগের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু পরীক্ষা করালে এই রোগ ধরা পড়ে। তাই হিমোগ্লোবিন কতটা এবং থাইরয়েড প্রোফাইল কী রকম জানা থাকলে এই রোগ সহজেই ধরা পড়বে এবং চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়।

চোখের চেক আপ

চশমা পরলে তো অবশ্যই মাঝে মাঝে আপনার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করানো প্রয়োজন, কিন্তু যদি চশমা নাও পরেন, সেক্ষেত্রেও চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার। ৩০ পেরোলে ছানির সমস্যা না হলেও পরবর্তীতে যাতে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। এখন আমাদের বেশিরভাগ সময় কাটে ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে। তাই চোখে বেশি চাপ পড়ছে।  

ব্লাড সুগার টেস্ট

অনেক নারীর রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে। তাই ৩০ বছরের পর পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।