সবুজ ও হলুদ রঙের ছোট্ট ফলগুলো দেখলেই জিভে পানি চলে আসে। শুধু দেখার জন্যই নয়, বরই খেতেও বেশ চমৎকার।
আমাদের দেশে যে প্রজাতির বরই পাওয়া যায় তাতে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। সিতে গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ (যেমন: টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠান্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া) দূর করে।
বরইয়ের রস অ্যান্টি-ক্যানসার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে রক্তশূন্যতা তৈরি হওয়া, ব্রঙ্কাইটিস— এসব অসুখ দ্রুত ভালো করে বরই।
রুচি বাড়ানোর জন্যও এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সিজনাল জ্বর, সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ
নিদ্রাহীনতা দূর করে এই ছোট্ট ফল।
আমাদের কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বরই।
স্ট্রেস হরমোন আমাদের মনে অবসাদ আনে, দুঃখ-কষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে নিদ্রাহীনতা তৈরি করে এই স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা কমায় বরই।
বরইয়ের খোসা খাবার হজমে সাহায্য করে।
উচ্চমানের ভিটামিন ‘এ’ রয়েছে বরইয়ে আর ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য রয়েছে এর চমকপ্রদ ক্ষমতা।
বরই খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফলটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। তারুণ্য ধরে রাখে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ফল খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা সবাই জানি। কিন্তু দোকানে বিদেশি ফলগুলো পাওয়া যায় দুঃখের বিষয় হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোতেই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ফরমালিন মেশানো থাকে। আর এসব ফল খেলে আমাদের, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
এ সমস্যার সমাধান একটাই, বিদেশি ফলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে মৌসুমি দেশি ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এগুলো যেমন পুষ্টিকর তেমনি সুস্বাদু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
এএটি