ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

স্বাস্থ্যকর খাবারের ভিড়ে বেছে নিন ড্রাই ফ্রুটস

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
স্বাস্থ্যকর খাবারের ভিড়ে বেছে নিন ড্রাই ফ্রুটস ড্রাই ফ্রুটস

ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনা ফল খুব উপকারি। এর আরেকটি সুবিধা হলো অনেক দিন ভালো থাকে।

অনেকেই এটা খান না। কিন্তু এর গুণ জানলে সবাই খাওয়া শুরু করে দেবেন। কারণ এই খাবার শুকিয়ে রাখা হয়। তাই একবার কিনলে বহুদিন খেতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস রয়েছে। হেলথলাইন নামের একটি অনলাইন পোর্টাল থেকে জানা যায়, ড্রাই ফ্রুটসে আছে বেশি পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলস এবং ফোলেট। আরও আছে ভিটামিন সি।

পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা অতি দীর্ঘ। কোনোটা ছেড়ে কোনোটা খাবেন, বুঝতে পারেন না অনেকেই। তবে স্বাস্থ্যকর খাবারের ভিড়ে বেছে নিতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। কোনোগুলোবেশি করে খাবেন?

আখরোট

ওমেগা ৩ থাকায় আখরোট উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ বেড়ে গেলে আখরোট ওষুধের মতো কাজ করে। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও আখরোট দারুণ উপকারি। আখরোটে থাকায় ‘আলফা লিনোলেনিক’ অ্যাসিড প্রদাহজনিত সমস্যার সমাধান করে।

কাজুবাদাম

ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে কাজুবাদামের জনপ্রিয়তা কম নয়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকরও বটে। সুস্থ থাকতে কাজু খেতে হবে। নিয়ম করে না হলেও কাজু খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি।

কাঠবাদাম

শরীর সুস্থ রাখতে কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কাঠবাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান। এই প্রতিটি উপাদান শরীরের অন্দরে পুষ্টি জোগায়। রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমায়।

কিশমিশ

ডায়াবেটিকদের কিশমিশ খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চাইলে কিশমিশ খেতে পারেন। ‘আমেরিকান কলেজ অবকার্ডিওলজি’র সমীক্ষা জানাচ্ছে, দিনে তিনবার কিশমিশ খেতে পারলে কমবে রক্তচাপের মাত্রা।

পেস্তাবাদাম

পায়েস কিংবা ফ্রায়েড রাইসে দিলে সুগন্ধ ম ম করে চারিদিকে। রান্নায় স্বাদ এবং গন্ধ আনা ছাড়াও পেস্তা কিন্তু ড্রাই ফ্রুট হিসেবে মন্দ নয়। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ছাড়াও পেস্তায় রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। যা শরীরের যত্ন নেয় ভেতর থেকে।

খেজুর

প্রাকৃতিক শর্করা এবং ফাইবারের উৎস হলো খেজুর। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে এই দুটি উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম। হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে তা-ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

খোবানি

কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন পানিতে ভেজানো খোবানি। ফাইবার এবং প্রাকৃতিক সর্বিটলে সমৃদ্ধ এই ফল শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

কয়েকটা ড্রাই ফ্রুটস খেলেই পেট ভরে থাকে। ফলে বেশি খেতে ইচ্ছে করবে না। এতে ওজন বাড়ার ভয়ও থাকে না। মনোযোগ বাড়াতেও শুকনা ফল বেশ সাহায্য করে। আখরোট, কাঠবাদামে আছে ওমেগা থ্রি, এই চর্বি মনোযোগের ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়ায়। তাই চেষ্টা করুন এ শুকনা ফলগুলো খাওয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।