ঢাকা, শনিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ শাবান ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যত্নে থাকুক মা-বাবা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৫
যত্নে থাকুক মা-বাবা

পৃথিবীতে সুস্থভাবে সন্তানকে নিয়ে আসতে, জন্মের আগেই তার জন্য ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করেন বাবা-মা। ধীরেধীরে শিশু বড় হলে তার প্রতিটি চাওয়া-পাওয়া পূরণে বাবা-মা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন।

প্রয়োজনের দিনগুলোতে সবচেয়ে বড় নির্ভরতা যেই বাবা-মা, বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে সেই সন্তানের কাছে বাবা-মায়ের জন্য একই রকম ভালোবাসা থাকে তো! প্রতিটি সন্তানের উচিত তার বাবা-মায়ের প্রতি  বেশি সচেতন থাকা। বয়স্ক মা-বাবার যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব শুধু কাজের লোকের ওপরে ছেড়ে না দিয়ে নিজেই দেখভাল করুন।  

* ছোট বয়সে তারা আমাদের ভালো রাখতে কত কিই না করেছেন। তাদের এই শেষ বয়সে অনেক দামি উপহারের চেয়ে আমাদের একটু কাছে পেলেই অনেক খুশি হন তারা।  
* বাইরে গেলে ঘরে ফিরে প্রথমে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করুন।
* সুযোগ থাকলে তাদের পছন্দের কিছু নিয়ে আসুন 
* বৃদ্ধ বয়সে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে তাদের প্রতি অবহেলা করা যাবে না, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বাবা-মায়ের ওষুধ আছে কি না দেখে এনে রাখুন। প্রয়োজনে স্মার্টফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুন যেন ভুলে না যান।

* অসুস্থ হলে হাসপাতালে যেতে হলে চেষ্টা করুন নিজে নিয়ে যেতে। বাবা-মায়ের পছন্দের খাবারগুলো তো আমরা জানি, খেয়াল রাখুন বাড়িতে যেন নিয়মিত তাদের পছন্দের কিছু খাবার তৈরি করা হয়।  

* নিয়মিত হাঁটা-চলা করতে উৎসাহ দিন তাদের।
* তাদের ঘর ও পোশাক পরিষ্কার রাখুন। এতে বাবা-মা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। যা তাদের শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
* ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম কোন তাপমাত্রাই বয়স্ক বাবা-মায়ের শরীরের জন্যে ভালো নয়।
* অনেক সময় তারা এমন কিছু বলতেই পারেন যা হয়ত আমাদের ভালো নাও লাগতে পারে বা তাদের কথা ভুলও হতে পারে। এমন সময়ও তাদের কথার প্রতিবাদ না করে বুঝিয়ে বলতে হবে। কখনোই ধমকের সুরে কথা বলা যাবে না।  
* তাদের হয়তো টাকার সমস্যা নেই, তারপরও হাত খরচ হিসেবে অল্প কিছু টাকা একটি সুন্দর খামে ভরে তাদের জন্য উপহার হিসেবে দিন 
* চেষ্টা করুন দিনের অন্তত একবেলা একসঙ্গে খাওয়ার।  
* বাবা-মায়ের সঙ্গে শুধু বিশেষ দিবসে নয়, মাঝে-মাঝেই ছবি তুলুন।
* সময় কাটাতে তাদেরও কিছু গেমস শিখিয়ে দিতে পারেন ট্যাবে বা স্মার্টফোনে।  
* সময় পেলে মায়ের কাছে আপনার ছোটবেলার গল্প শুনতে চান, আপনার গল্পগুলো করার সময় মা আপনার পুরো শৈশব চোখের সামনে এনে দেবেন।  
* বাড়িতে অতিথি এলে তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। আমরা যেন কখনো বাবা-মায়ের সঙ্গে এমন কিছু না করি, যাতে করে তাদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। কোনো কারণে যদি বাবা-মা আলাদা থাকেন, নিয়মিত ফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
* কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, ছুটির দিনে একসঙ্গে বসে গল্প করাও সন্তান হিসেবে আমাদের জন্য সৌভাগ্য। কারণ বাবা-মা সব সময় থাকবেন না। তাদের সঙ্গে কাটানো সুন্দর সময়গুলো শুধু তাদের ভালোলাগার জন্যই নয়, এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই একদিন আমাদের সঙ্গী হবে প্রিয় বাবা-মায়ের স্মৃতি হিসেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।