ঢাকা, রবিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩২, ০৪ মে ২০২৫, ০৬ জিলকদ ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কর্মক্ষেত্রে টয়লেট ব্যবহারের আদবকেতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৬, মে ৩, ২০২৫
কর্মক্ষেত্রে টয়লেট ব্যবহারের আদবকেতা টয়লেট ব্যবহারের কিছু আদবকেতা মেনে চলা উচিত।

কর্মজীবী সবারই দিনের একটি বড় সময় কাটে কর্মক্ষেত্রে। সেখানে কাজের ক্ষেত্রে যেমন বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হয়, তেমনি টয়লেট ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কিছু আদবকেতা মেনে চলা উচিত।

 এ ছাড়া জীবাণু ও সংক্রমণ এড়াতে টয়লেট পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর রাখা অপরিহার্য। আসুন কর্মক্ষেত্রে টয়লেট ব্যবহারের আগে আদবকেতাগুলো জানি-

* টয়লেটে ঢুকে প্রথমে দরজা ভালোমতো বন্ধ করুন। কেউ ভুলে দরজা খুলে ফেললে দুইজনেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়বেন। টয়লেটের ভেতরে কেউ থাকলে বারবার নক করবেন না।  অপেক্ষা করুন।  

* ব্যবহারের পর যেন কমোড ভেজা না থাকে। অযথা পানি ফেলে টয়লেটের মেঝে ভেজাবেন না। অনেকেরই টয়লেট ব্যবহারের পর পা ধোওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু পাবলিক টয়লেটে এটা না করাই ভালো।

* টয়লেট ব্যবহাররের পর ফ্লাশ করুন। পানি না থাকলে কর্তৃপক্ষকে অবগত করুন।

* টয়লেট ব্যবহারের পর হাত পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

* প্রয়োজনের বেশি সময় টয়েলেটে বসে থাকবেন না।

* ফোনে কথা বলে টয়লেট আটকে রাখবেন না।

* টিস্যু বা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের পর কমোড বা বেসিনে ফেলবেন না। এতে পানি আটকে গিয়ে টয়লেট নোংরা হয়।

* বেসিন ব্যবহারের পর পানির কল অবশ্যই বন্ধ করুন। অন্য কেউ কল খুলে গেলেও আপনি দায়িত্ব নিয়ে বন্ধ করুন।

* টয়লেটে বসে ধূমপান করবেন না। অন্যদের দম বন্ধ লাগতে পারে। বদ্ধ জায়গায় বসে ধূমপানের ফলে দুর্ঘটনাও ঘটার আশঙ্কা থাকে।

* ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট থাকে অফিসে। সেটা লেখা বা ছবি দিয়ে বোঝানো হয়। তাই ভুল করে অন্যের টয়লেটে ঢুকে যাচ্ছেন কি না দেখে নিন। যদি এমন হয় যে আপনি একজন পুরুষ কর্মী, কোনো নারী নেই দেখে আপনি তাদের টয়লেটে গেলেন, সেটাও অন্যায়।

* নারী কর্মীদের খুব দরকার না পড়লে তাদের ব্যাগ টয়লেটে না নেওয়াই ভালো। এ ছাড়া দামি কোনো জিনিস টয়লেটে নেবেন না।

* টয়লেটে ঢোকার সময় টয়লেটের বাতাস বের করে দেওয়ার এগজস্ট ফ্যানটি অন করে দিন এবং বের হওয়ার সময় ফ্যান ও টয়লেটের বাতি নিভিয়ে বা অফ করে দিতে ভুলবেন না।

* টয়লেটের বেসিনে চুল বা সাবানের খোসা বা পানি আটকে রাখার মতো কিছু ফেলা থেকে বিরত থাকুন।

* কখনো যদি আপনি খেয়াল করেন যে টয়লেট নোংরা অবস্থায় আছে, তাহলে ক্লিনার ডেকে তা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিন।

* কমোড হলে বসার জায়গা ভালো করে দেখে নিন। অনেক সময় অন্যের অসাবধানতায় সেখানে ময়লা বা পানি লেগে থাকতে পারে। নোংরা হলে পরিষ্কার করে তারপর সেখানে বসুন।

* মেয়েদের ক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন কখনো ফ্লাশ করা ঠিক নয়।

* নোংরা ন্যাপকিন ডাস্টবিনে ফেলার আগে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে ফেলুন।  

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।