জীবন যেন দৌড়ে চলছে। সকাল থেকে রাত-মিটিং, ক্লাস, যানজট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়তা।
ঠিক এমন সময়ে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এক নতুন জীবনদর্শন ‘স্লো লিভিং’। শব্দটির অর্থই বলে দেয়, জীবনকে একটু ধীরে উপভোগ করা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণটি কেবল ধীরে কাজ করা নয়, বরং প্রতিটি কাজকে মন দিয়ে করা। দ্রুততার চাপে আমরা অনেক কিছুই মিস করি-যেমন প্রিয় মানুষের হাসি, সকালের রোদ, বিকেলের বাতাস কিংবা চায়ের কাপের গন্ধ।
স্লো লিভিং-এর প্রভাব যেভাবে পড়ে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে-জীবনযাপনে
স্ট্রেস কমে: নিয়মিত সময় নিয়ে কাজ করলে মস্তিষ্কে চাপ কম পড়ে।
ঘুম ভালো হয়: ব্যস্ততা কমালে ঘুমের মান বাড়ে।
সম্পর্ক মজবুত হয়: কাছের মানুষদের জন্য সময় পাওয়া যায়।
সৃজনশীলতা বাড়ে: মন হালকা থাকলে চিন্তা পরিষ্কার হয়।
কীভাবে শুরু করবেন?
দিনে অন্তত ৩০ মিনিট নিজের জন্য রাখুন।
খাবার সময় ফোন দূরে রাখুন।
মৃদু গানের সঙ্গে সকালে হাঁটার চেষ্টা করুন।
‘না’ বলতে শিখুন, সবকিছুতেই হ্যাঁ বলা জরুরি নয়।
জীবন একবারই পাওয়া যায়। কাজ, দায়িত্ব আর প্রতিযোগিতার মধ্যেও দরকার একটু থেমে নিজের দিকে ফিরে তাকানো। তাই মাঝে মাঝে গতি কমান, নিঃশ্বাস নিন, আর উপভোগ করুন জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো।
এসআইএস