দিনা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছেন তার মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? এটি নিয়ে দিনার মতো অনেক পুরুষ ও নারী ভোগেন এই সমস্যায়। কারণ হতে পারে জিনগত প্রভাব, মানসিক চাপ, হরমোনজনিত পরিবর্তন বা কিছু শারীরিক সমস্যা।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, আমাদের ত্বকের যত্নে যেমন স্ক্রাবিং, ক্লিনজিং, ময়শ্চারাইজিংকে গুরুত্ব দিই, স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রেও তেমনই। মাথার স্ক্যাল্পে যদি ময়লা জমে থাকে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হয়, তা হলে চুল তো ঝরবেই, আরও নানা সমস্যা দেখা দেবে। মাথার স্ক্যাল্প নিয়ম করে ম্যাসাজ করতে পারলে তার উপকার অনেক। চুলের স্বাস্থ্য তো ভালো হবেই, মানসিক চাপও কমবে।
* স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করার নিয়ম
প্রথমে চুল ভালো করে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। বড় চুল হলে, মাথা ঝুঁকিয়ে সব চুল সামনের দিকে আনুন।
এবার আঙুলের ডগা দিয়ে মাথার পেছন থেকে সামনের দিকে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। চুলের গোড়ার দিকগুলোতে চক্রাকারে ম্যাসাজ করতে হবে। মাথার সামনের দিকে কপাল বরাবর একটু চাপ দিয়ে ম্যাসাজ করুন। স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ তেল দিয়ে করলে হেয়ার ফলিকলগুলো পুষ্টি পাবে। চুলের গোড়া মজবুত হবে।
স্ক্যাল্প ম্যাসাজের লাভ কতটা?
রুক্ষ-শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হতে পারে এই উপায়ে। মাথার তালু অনেক সময়েই শুকিয়ে গিয়ে চুলকানি হয়। তালুতে ব্রণ বা র্যাশও হয়। নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে তালুতে নোংরা জমতে পারবে না। মৃত কোষগুলো উঠে যাবে, ফলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা ভোগাবে না। পাশাপাশি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। অক্সিজেনও পৌঁছবে। চুল অকালে পাকবে না বা ঝরবে না।
রাতে ঘুমনোর আগে ১০-১৫ মিনিট স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে ঘুম ভালো হবে। উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই মিলবে। নিয়মিত স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়ে না। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। চুলের ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে তা-ও কমবে ধীরে ধীরে।
ডিম, মেথি বাটা, অ্যালোভেরা বা নারিকেল তেল দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক মাস্ক সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে বাজারের চকচকে প্যাকেটের হেয়ার প্যাক নয়। বরং প্রাকৃতিক যত্নই বেশি কার্যকর। নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ, স্বাস্থ্যকর খাবার আর ঘরোয়া মাস্কে ফিরিয়ে আনুন চুলের পুরোনো ঘনত্ব ও সৌন্দর্য। কারণ চুল শুধু সাজ নয়, আত্মবিশ্বাসেরও বড় উপাদান।
এএটি