ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

দাদা-দাদীর জানাশোনা আদতেই বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১১
দাদা-দাদীর জানাশোনা আদতেই বেশি

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন ছোটবেলায় যাদের দাদা-দাদীর কাছে গল্প না শুনলে ঘুমই আসত না। অনেক সময় দাদা-দাদীরা তাদের নিজেদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা গল্পাকারে বলতেন।

আর আমরা তাদের জ্ঞানের পরিধিতে দেখে পুলকিত হতাম। বয়স্ক ব্যক্তিরা একইসময়ে অনায়াসে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আমরা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিতাম, তারা আমাদের চেয়ে জ্ঞানী। সত্যিই তাদের সবচেয়ে বেশি জানাশোনা। আশ্চর্য শোনালেও এর পক্ষে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণও পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন, ৬০ বছরের পর থেকে মানুষের মধ্যে ‘আবেগগত বুদ্ধিমত্তা’ বাড়তে থাকে। এর ফলে বয়স্করা তরুণদের তুলনায় অনেক বেশি সংবেদনশীল হন। এছাড়া তারা যে কোনো দুর্দিনেও ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারেন।

সম্প্রতি সাইকোলজি অ্যান্ড এজিং নামের একটি সাময়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।   যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের শেষ পর্যায়ে তাদের মধ্যে আরো ‘দায়িত্বশীল’ মনোভাবের সৃষ্টি হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক রবার্ট লেভেনসন বলেন, ‘ক্রমান্বয়ে দেখা যাচ্ছে যে বয়স্করা জীবনের শেষ পর্যায়ে সামাজিক সম্পর্কের বিষয়ে আরো মনযোগী হয় এবং অপর ও নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আন্তঃব্যক্তিক এবং সহমর্মিতার ক্ষেত্রে স্নায়বিক দিকগুলো বেশি কাজ করতে থাকে। ’

ড. বেনজামিন সেইডার বলেন, ‘জীবনের শেষ দিকে মানুষ ব্যতিক্রমী বিষয় এবং অর্জনের দিকে মনোযোগী হয়ে আন্তর্ব্যক্তিক সম্পর্ককে গভীর করতে পারেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, ০৩ ডিসেম্বর ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।