লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে কত কথাই না হয় আমাদের দেশে। পাশ্চাত্যেও কম হয় না।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের গবেষক ক্যাথেরিন হাকিম তার সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন চিত্রই দেখতে পেয়েছেন। তার মতে, মেয়েরা আর্থিক বিষয়ে ছেলেদের ওপর নির্ভর করতে চান না, এটা আসলে একটা কল্পকথা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বহু দশক ধরেই নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার জন্য কত প্রচারণাই তো চলছে দেশে দেশে। কিন্তু, ক্যাথেরিন বলেন, সমাজে বহু নারী রয়েছেন যারা এখনো নিজেকে চাকরিজীবীর চেয়ে একজন গৃহকর্ত্রী হিসেবে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন। আর সেক্ষেত্রে ধনী স্বামীর উপার্জন তাদের জন্য বেশ সহায়ক।
‘এমন নারীর সংখ্যা অনেক যাদের পছন্দ তাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত ও বেশি উপার্জনকারী পুরুষকে স্বামী হিসেবে দেখতে। ’
ক্যাথেরিনের ভাষায়, ‘গত চার দশক ধরে কত প্রচারণাই তো হলো, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে পুরুষদের ওপর নারীদের নির্ভরতার কোনও পরিবর্তনই হচ্ছে না। ’
৫২ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রে ক্যাথেরিন আরো বলেন, ‘নিজের চেয়ে একজন বেশি শিক্ষিত ও বেশি অর্থশালী ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার বাসনা রাখেন ইউরোপের অধিকাংশ নারী। ’
শুধু ইউরোপই নয়, ক্যাথেরিন গবেষণা চালিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। তার মতে, এই প্রবণতা গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। ক্যাথেরিন এ বিষয়টি জেনে আরো অবাক হন যে, মেয়েরা এ কথা মনের ভেতর গোপন রাখতেই বেশি পছন্দ করেন।
তবে কেন মেয়েরা ধনী বর পছন্দ করছেন, এ সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেননি গবেষক। তরুণীরা ধনী বৃদ্ধদের বিয়ে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় এটি একটি সাধারণ ঘটনা।
বাংলাদেশ সময় ১৯২১, জানুয়ারি ১০, ২০১১