পপতারকা জন লেননের খুনি মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যান এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো প্যারোলে মুক্তির জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন, বিটলস তারকার মৃত্যুর ৩০তম বছরে ।
চ্যাপম্যান আগস্টের ৯ তারিখে প্যারোল বোর্ডের দুই সদস্যর মুখোমুখি হবেন শুনানির জন্য।
চলতি বছর চ্যাপম্যানের মুক্তির জন্য তার প্রতিনিধিরা ৪টি আবেদনপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে নিউ ইয়র্ক স্টেট ডিভিশন অব প্যারোল দুটি আবেদনের বৈধতা মেনে নেয়।
শেষবার চ্যাপম্যান ২০০৮ সালে প্যারোলের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। নিউ ইয়র্ক স্টেট ডিভিশন অব প্যারোল সেই আবেদন বাতিল করে বলেছিল, তার মুক্তি জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। একইভাবে ২০০০, ২০০২, ২০০৪ ও ২০০৬ সালে তার প্যারোলের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়।
১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর লেননকে নিজ এপার্টমেন্টের বাইরে গুলি করে হত্যা করার অপরাধে ৫৫ বছর বয়সী চ্যাপম্যান গত ২০ বছর ধরে কারাবন্দি আছে। সংশোধনমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তাকে নির্জন কক্ষে ২৯ বছরের কারাদ- প্রদান করা হয়। স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন সার্ভিস অন্য কয়েদিদের জন্য হুমকিস্বরূপ চিহ্নিত করে তাকে কারাভবনের নির্জন প্রকোষ্ঠে অন্তরীণ রেখেছে।
কারাগারের কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, অন্য কয়েদিরা যেমন দিনের বেশির ভাগ সময় নিজ কক্ষের অবস্থান করে গৃহস্থালি বা লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পায়, তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। গত ২০ বছরে তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে শুধু তার স্ত্রী গ্লোরিয়াকে। মার্কিন আইন অনুযায়ী ফ্যামিলি রি-ইউনিয়নের আওতায় একজন কারাবন্দিকে বছরে ৪৪ ঘণ্টা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর নিয়মের মধ্যেই তারা দেখাসাক্ষাৎ করেন।
১৯৯৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালনকারী কারাগারের মুখপাত্র ক্রিস জানান, চ্যাপমান বেশ শান্তভাবেই দিনযাপন করছে। তার মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব কখনো আমার চোখে পড়েনি।
লেননের বিধবা পত্নী ইয়োকো ওনো আগের বছরগুলোতে খুনি চ্যাপম্যানের প্যারোল মুক্তির বিরোধিতা করে আবেদন জানিয়ে আসছেন। এবারও ওনো তার উকিলের মাধ্যমে আগের মতোই প্যারোল প্রত্যাখ্যান করার জন্য আবেদন জানানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
সূত্র : সিএনএন
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫৪০, জুলাই ২৮, ২০১০