এটিএনবাংলার দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘পৌষ ফাগুনের পালা’। গজেন্দ্রকুমার মিত্রের ত্রয়ী উপন্যাস অবলম্বনে আফসানা মিমি পরিচালিত এই ধারাবাহিকের ৫০তম পর্ব প্রচার উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে এটিএনবাংলা স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত হয় এক সংবাদ সম্মেলন।
‘কলকাতার কাছেই’, ‘উপকন্ঠে’ ও ‘পৌষ ফাগুনের পালা’-- গজেন্দ্রকুমার মিত্রের এই তিনটি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘পৌষ ফাগুনের পালা’। টিভি মিডিয়ায় দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পথিকৃত ‘কৃষ্ণচূড়া প্রডাকশন্স’ প্রযোজিত এই ধারাবাহিকটি এটিএনবাংলায় প্রচার হচ্ছে প্রতি মঙ্গল ও বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে। এতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌসী মজুমদার, হুমায়ূন ফরীদি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, কেয়া চৌধুরী, আফরোজা বানু, মাসুদ আলী খান, হাসান ইমাম, শর্মিলী আহমেদ, জ্যোৎস্না বিশ্বাস, সোলায়মান খোকা, জাহিদ হাসান, তুষার খান, ত্রপা মজুমদার, সাদিয়া ইসলাম মৌ, ইন্তেখাব দিনার, শামস্ সুমন, সাজু খাদেম, সানজিদা প্রীতি, সোহানা সাবা ও আরো অনেকে। আগামীতে এ নাটকে আরো যুক্ত হচ্ছেন আফসানা মিমি, আজাদ আবুল কালাম, তারিন, বন্যা মির্জা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ।
ধারাবাহিক নাটক ‘পৌষ ফাগুনের পালা’র কাহিনীর প্রেক্ষাপট ঢাকা এবং ঢাকার উপকণ্ঠের গ্রাম। সময়কাল ১৯৬০ থেকে ১৯৭০। আটান্ন বছর বয়সী জমিদারের সাথে রাসমণির বিয়ে হয়েছিল মাত্র তের বছর বয়সে। পারিবারিক ষড়যন্ত্রে জমিদারের মৃত্যু হলে বিধবা রাসমণি তিন মেয়ে কমলা, শ্যামা ও উমাকে নিয়ে চলে আসে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায়। শুরু হয় রাসমণির পথ চলা। সময়ের আবর্তে হারিয়ে যান রাসমণি। নতুনভাবে পথ চলা শুরু হয় তার তিন মেয়ের। নিত্যদিনের হাহাকার আর বেঁচে থাকার প্রয়োজনে তাদের লড়াই এ নাটকে নতুন নতুন গল্প তৈরি করতে থাকে। দেখা যায় নতুন জীবন, নতুন গল্প। কখনও দুখ-বেদনা, কখনও বা হাসি-আনন্দ।
সংবাদ সম্মেলন নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ফেলে আসা ৫০ পর্বের শুটিংয়ে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। নাটকটির পর্ব সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাবে বলে পরিচালক আফসানা মিমি জানান।
ধারাবাহিক নাটক ‘পৌষ ফাগুনের পালা’-এর ৫১ পর্ব প্রচার হবে ২২ ডিসেম্বর বুধবার।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬৩০, ডিসেম্বর ২১, ২০১০