কল্পনা করুন তো বিকেলের মিষ্টি রোদে তাবুতে বসে গরম চায়ে চুমুক দিচ্ছেন, আর হঠাৎই লক্ষ করলেন একদল বুনো হরিণ আপনার চারপাশে চড়ে বেরাচ্ছে; আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, তাই না? এই বিরল মুহূর্তটি উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে নিঝুম দ্বীপে। নদী আর সাগরের মোহনায় প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই দ্বীপটি যেন হয়ে উঠেছে হরিণের স্বর্গরাজ্য।
দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ হলেও এটি কিন্তু আসলে নিঝুম নয়। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত এই দ্বীপটিতে প্রায় ১২হাজার লোকের বসবাস। এই দ্বীপটি দুই ভাগে বিভক্ত, একটি হচ্ছে লোকালয় এবং অন্যটি চিত্রা হরিণের অভয়ারণ্য (শালবন)। দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হরিণের অভয়ারণ্যটি। এখানে আপনি উপভোগ করতে পারবেন হাজার হাজার হরিণের অবাধ বিচরণের বিরল দৃশ্য। আপনারা হয়তো সমুদ্র দেখেছেন, কিন্তু নদী আর সমুদ্রের মোহনা যে এক অপরূপ সৌন্দর্যের অবতারণা করেছে তা নিঝুম দ্বীপে না গেলে অপূর্ণই থেকে যাবে। শালবনের ভেতর তাবুতে ক্যাম্প ফায়ারের অভিজ্ঞতাও আপনাকে রোমাঞ্চিত করে তুলবে।
সৌন্দর্যের দিক থেকে কোন কমতি না থাকলেও নিঝুম দ্বীপে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। ঢাকার সদরঘাট থেকে দুটি মাত্র লঞ্চ আছে, যা হাতিয়া দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়( এম.ভি পানামা ও এম.ভি টিপু)। হাতিয়া থেকে বন্দর টিলা নামক স্থানে গিয়ে ছোট একটি নদী পার হলেই পৌঁছে যাবেন নিঝুম দ্বীপে। সেখানে থাকার জন্য একটি মাত্র হোটেল আছে ( হোটেল অবকাশ লি:)। তবে নিঝুম দ্বীপের আসল মজাটাই হলো তাবুতে থাকা।
ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার সময় নিঝুম দ্বীপের কথাও বিবেচনায় রাখুন। আর এখানে এসে উপভোগ করুন সাগর, দ্বীপ, নদী, বন আর হরিণের মিলন মেলা।