আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটারে মঞ্চস্থ হবে শাকুর মজিদের রচনা ও সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় নাটক মহাজনের নাও। নাটক ও মঞ্চ সম্পর্কে শাকুর মজিদের একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তোফাজ্জল লিটন
রেডিও এবং টিভি নাটকের পর মঞ্চনাটকে আগ্রহী হলেন কেন?
শাকুর মজিদ : আসলে নাটক বলতে মঞ্চনাটককেই বোঝায়, যেহেতু নাটক লিখি মঞ্চনাটকের প্রতি আগ্রহ ছিল।
আপনি তো শাহ আবদুল করিমের জীবনকে নিয়ে তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছেন। এখন মঞ্চনাটক লিখলেন। দর্শকের কাছে পৌঁছার জন্য কোন মাধ্যমকে জোরালো মনে করেন ?
শা.ম.: দুটো মাধ্যম সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই একটার সাথে আরেকটার তুলনা ঠিক হবে না। টিভিতে কোনো কিছু প্রচার হলে তা একসাথে অনেক দর্শকের কাছে পৌঁছায় সে তুলনায় মঞ্চনাটকের এক-একটি প্রদর্শনীতে দর্শক হয় দু থেকে তিন শ। কিন্তু সাহিত্যমান এবং স্থায়িত্বের দিক দিয়ে মঞ্চনাটকই সেরা।
‘মহাজনের নাও’ করতে গিয়ে থিয়েটারের মানুষদের সাথে অনেক দিন ঘনিষ্ঠভাবে মিশলেন। তাদের সম্পর্কে কী মনে হয়?
শা.ম.: একটা কথাই মনে হয়েছে, বাংলাদেশের থিয়েটার চলে শুধু প্রাণের ভালোবাসায়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে টিভি বা চলচ্চিত্রের সাথে কাজ করার চেয়ে মানুষ মঞ্চে কাজ করাটাই বেশি সম্মানের মনে করে। অথচ আমাদের এখানে বিপরীত চিত্র। এর কারণ আমাদের থিয়েটার প্রফেশনাল না।
এক্ষেত্রে থিয়েটার বা থিয়েটারকর্মীদের কী করা উচিত?
শা.ম.: থিয়েটারকর্মীদের উচিত হবে থিয়েটারকে জীবিকার মূল মাধ্যম হিসেবে না নিয়ে একে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে মেনে নেওয়া। এখানে শিখে অন্য জায়গায় তা কাজে লাগাতে হবে। আবার এ শূন্যতা পূরণ করবে নতুনরা। এভাবেই চলতে পারে থিয়েটার।
আপনার নিজের কাছে মহাজনের নাও কেমন লেগেছে?
শা.ম.: আমি নাটক লিখে দাঁড়িয়ে আছি কাঠগড়ায় আর দর্শক আছেন বিচারক হিসেবে। এখন দর্শক যে রায় দেবেন তা-ই আমাকে মেনে নিতে হবে।
পান্ডুলিপি সংকটের এ সময়ে আপনার মহাজনের নাও থিয়েটারকর্মীদের আশান্বিত করেছে। আপনার কাছ থেকে এ ধরনের মানসম্পন্ন আরো পা-ুলিপি থিয়েটারগুলো পাবে কি না ?
শা.ম.: এত ঘন ঘন অন্য কাজ করা গেলেও নাটক লেখা যায় না। তবে সামনে আরো লিখব।
বর্তমানে কী কাজ করছেন?
শা.ম.: মুসলিম স্থাপত্য নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাণ করছি
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১১১০, জুলাই ০২, ২০১০
এসকেএইচ