বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ডদল শিরোনামহীন। শিগগিরই তারা বাজারে ছাড়ছে তাদের চতুর্থ অ্যালবাম।
ব্যান্ডর অন্যতম সদস্য বেস গীটারিস্ট জিয়া অ্যালবামটি সম্পর্কে বলেন, বাঙালী জাতির গর্ব বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান রেখেই তার গান নিয়ে আমরা কাজ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার সময়ে ছিলেন অগ্রসর মানুষ। তার দর্শণে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা আধুনিক বাদ্যযন্ত্র সহযোগে রবীন্দ্রসংগীত কম্পোজ করেছি। আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম নতুন করে আরও ভালভাবে তার সৃষ্টিকর্মের সাথে পরিচিত হোক এবং তার অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করুক।
জাহাজী, ইচ্ছেঘুড়ি ও বন্ধ জানালা অ্যালবামের সাফল্যের পর শিরোনামহীন ভিন্নধারার এ অ্যালবামের কাজ শুরু করে। প্রবল আত্মবিশ্বাস আর গুণীজনদের পরামর্শ নিয়ে তারা অ্যালবামটির কাজ শেষ করেন। এ ব্যাপারে ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য জিয়া আরো বলেন, অ্যালবামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি গান অত্যন্ত মমতা দিয়ে করার চেষ্টা করেছি আমরা। শিরোনামহীন ব্যান্ডের ভক্তদের কথা মাথায় রেখে গানগুলো গাওয়া হয়েছে আমাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে। অ্যালবামে মোট নয়টি গান আছে। প্রতিটি গানের ধরণ সম্পূর্ণ আলাদা। নিটল প্রেমের গান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথের পশ্চিমা ধাঁচের গানও স্থান পেয়েছে আমাদের নতুন অ্যালবামটিতে।
শিরোনামহীনের ভোকাল তুহিন বললেন,রবীন্দ্রসংগীতের কথায় বৈষ্ণব ও উপনিষদিক আদর্শের সমন্বয় দেখা যায়। সুরের দিক থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও পাশ্চাত্য সংগীতের ত্রিবেণীসংগম ঘটেছে রবীন্দ্রনাথের গানে। তার রচিত গানের সংখ্যা ২২১২টি। এতগুলো গানের মধ্যে থেকে অ্যালবামের জন্য গান বাছাই করা আমাদের জন্য ছিল কষ্টসাধ্য কাজ। আমরা গান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর জোর দিয়েছি। ধ্রুপদী, বাউল, ফোক, র্কীতন, ভাবানুভাদ এমনকি পশ্চিমা সঙ্গীতের বিষয়টিকেও অ্যালবামে নিয়ে এসেছি। । আমরা আশা করি সব ধরনের শ্রোতাদের কাছে অ্যালবামের গানগুলো ভাল লাগবে। তিনি আরো বলেন, অ্যালবাম তৈরি করার ব্যাপারে শিরোনামহীন যেমন যতœবান তেমনি বাজারজাত করার ব্যাপারেও আমরা অনেক সতর্ক। দলের প্রতিটি সদস্য মনে প্রাণে চাই, অডিও পাইরেসির ভয়াল হাত থেকে যেন অ্যালবামটি রা পায় ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘শিরোনামহীন রবীন্দ্রনাথ’ অ্যালবামটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।