ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আন্তর্জাতিক আদালতে নওমি

তৌহিদ রনী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১০

উপহার পেতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু উপহারও যে কখনো কখনো বিপত্তি টেনে আনে তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সুপার মডেল নওমি ক্যাম্পবেল। তের বছর আগে নেওয়া এক উপহারের জন্য বেমালুম ফেঁসে গেছেন তিনি।



বিশ্বখ্যাত সেলিব্রিটিরা বিভিন্ন দেশে সফরে গেলে উপহার দিয়ে তাদের সম্মানিত করেন বিশিষ্টজনেরা। এ রেওয়াজ দীর্ঘদিনের।   বিশ্বখ্যাত মডেল নওমি ক্যাম্পবেল ১৯৯৭ সালে নওমি দণি আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয় লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলরের সঙ্গে। নওমি তার সম্মানে দেয়া টেলরের একটি নৈশ ভোজে অংশ নেন। সে সময় প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলর তাকে একখন্ড হীরে উপহার দেন। এতো দামী উপহার পেয়ে সেসময় বিস্মিত হয়েছিলেন নওমি ক্যাম্পবেল। সানন্দেই তিনি উপহারটি গ্রহণ করেছিলেন।

পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলরের বিরুদ্ধে যুদ্ধপরাধের অভিযোগ ওঠে। তাকে কারাবন্দি করা হয়। বর্তমানে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিচার চলছে। চার্লস প্রচুর হীরার মালিক বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আর এই হীরেখন্ডগুলো অনৈতিকপথে তিনি আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ আছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমান  ও বিচারকাজের সুবিধার জন্য আন্তর্জাতিক আদালত সুপার মডেল নওমি ক্যাম্পবেলকে ০৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে স্যা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যুদ্ধপরাধের সঙ্গে যুক্ত ধনকুবেরের কাছ থেকে হীরে উপহার নেওয়া নওমি এখন বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছেন। তিনি এখন অনেকটা নির্বিকার ও বাকরুদ্ধ। কারণ কোন অপরাধ না করে নির্দোষ উপহার নেয়ায় তিনি ফেঁসে গেছেন। যুদ্ধপরাধে দোষে অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশে এখন তার নামটাও আলোচনায় উঠে এসেছে।

স্তম্ভিত নওমি ক্যাম্পবেলের জন্য অবশ্য কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকরা। তার উপস্থিতিকে সামনে রেখে আদালতের বিশেষ নির্দেশে নেদারল্যান্ডের হেগে শহরের আদালত প্রাঙ্গণে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা । আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাকে যেন কোন ধরণের হয়রানি বা বিড়ম্বনায় ফেলা যাবে না। আদালত প্রাঙ্গণে এই সুপারমডেলের ছবি তোলার ব্যাপারেও কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন  বিচারকরা।

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো ভক্ত ও অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপো করছে রায় শোনার জন্য। যদিও এখানে শুধু স্বাক্ষী দিতেই হচ্ছেন নওমি, তবুও অনেকেই মনে করছেন যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি আদালত সুনজরে নাও দেখতে পারে।

বাংলাদেশ সময় ১৭১০, আগস্ট ০৫,২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।