ইয়েলোকার্ড, নামটি শুনে মনে হচ্ছে ফুটবল খেলায় খেলোয়াড়কে সর্তক করা হয়েছে। না,এটি কোন খেলা নয়।
ফোরিডার জ্যাকসনভিলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মিউজিক কম্পোজিশনে ভায়োলিন প্রয়োগে বৈচিত্র্যতার কারণে এই ব্যান্ডটি শ্রোতাদের কাছে অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে উঠে। আমেরিকা ও ইউরোপে সফট রক প্রিয় শ্রোতাদের এখন প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে ইয়েলোকার্ড।
আমেরিকান অল্টারনেটিভ ধাচেঁর এই রক ব্যান্ড আরেকবার বিশ্ব মাতাতে আসছে একটি নতুন অ্যালবাম নিয়ে। সম্প্রতি ব্যান্ডটির মূল ভোকাল রায়ান কি ইয়েলো কার্ডের নতুন অ্যালবামের প্রকাশের ব্যাপারে মুখ খোলেন। ইস্টার্ণ এন্ড ওয়েস্টার্ণ মিক্সড কম্পেজিশনের এই গানগুলোর রেকর্ডিং এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরই ইয়েলোকার্ডের এক্সপেরিম্যান্টাল এই আলবামটি তাদের রিলিজ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এর আগে ২০০৭ সালে তাদের পেপার ওয়ালস্ অ্যালবামের ‘লাইট আপ দ্যা স্কাই’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের ৩২ নাম্বারে এই গানটি স্থান পেয়েছিল। তাছাড়া ২০০৩ সালে ‘ওশান এভিনিউ’ এবং ২০০৬ সালে ‘লাইটস এন্ড সাউন্ড’ অ্যালবামের গানগুলোও দর্শকের হ্নদয়ে ঝড় তুলেছিল।
চলার পথে অনেক ঝড়-ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়েছে এই জনপ্রিয় ব্যান্ডটিকে। ইয়োলাকার্ড গঠন হবার পরপর ১৯৯৭ সালে ‘মিডগেট টসিং’ নামে একটি অ্যালবাম বের করে এবং এই অ্যালবামের ভোকাল ছিলেন সিন মার্কিন। তারপর ১৯৯৯ সালে ‘হয়ার উই স্ট্যান্ড’ এবং ২০০১ সালে ‘ওয়ান ফর দ্য কিডস্’ নামে অ্যালবাম বের করলেও ততটা সাফল্য লাভ করতে পারেনি। এতে ব্যান্ডের কেউ কেউ হতাশ হয়ে পড়েন। তবে ভেঙে পরেন নি। দলের সবাইকে চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রায়ান কি ও সিন মার্কিন। ২০০৩ সালে ব্যান্ডটি হঠাৎ ‘অনলি ওয়ান’ নামে একটি অসাধারণ একটা গান প্রকাশ করে শ্রোতার কাছে নিজেদের পরিচিত করে তুলে। পরবর্তীতে এই গানটি ‘ওশান এভিনিউ’ অ্যালবামে প্রকাশ পায়। বর্তমানে পুরো আমেরিকা সহ ইউরোপেও ইয়োলোকার্ড দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাদের স্টেজ পারফরর্মেন্সও বেশ আকর্ষণীয়।
ছয়জন মিলে শুরু করলেও বর্তমানে ইয়োলাকার্ড ব্যান্ডের সদস্য মোট ৫ জন। ব্যান্ডটির বর্তমান লাইন আপ Ñ
গিটার ও ভোকালে : রায়ান কি
বেইজ : পিটার মোসলে
ড্রামস :পারসোন
এবং ভোকাল ও ভায়োলিন মার্কিন ।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩০, আগস্ট ০৭, ২০১০