ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

রিংকুর লালন এবং সম্পর্ক

তোফাজ্জল লিটন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১০

ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা রিংকু। পাঁচ বছর বয়স থেকেই পারিবারিকভাবে গান করছেন।

গানই তার পেশা এবং নেশা। সদালাপি এবং মঞ্চকাঁপানো রিংকু এসেছিলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি কার্যালয়ে। আলাপচারিতায় জানা গেল, এবার ঈদে ‘ফকির লালন বলে’ নামে একটি একক অ্যালবাম করছেন তিনি।

লালনের প্রতিটি গানে ‘ফকির লালন বলে’ কথাটি  থাকে। তাই এমন শিরোনামের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন তিনি।   এ অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করছেন সুমন কল্যাণ। পরিবেশনার কাজটি করছে ‘গাঙ্গচিল’ এবং প্রযোজনা করেছে ‘সম্পর্ক’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

অ্যালবামে কয়টি এবং কী ধরনের গান থাকছে? এ প্রসঙ্গে রিংকু জানান, মোট গান থাকবে আটটি আর দর্শকদের একটি বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকবে লালনের একটি গানের যন্ত্রসঙ্গীত। বললেন, লালনের অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে, তবে আমি এ অ্যালবামে তাঁর কম প্রচলিত গানগুলো গেয়েছি। এর সঙ্গীতায়োজনেও সুমন নতুনত্ব এনেছেন, তবে তা মূল সুর এবং ভাবকে বিকৃত করে নয়। অ্যালবামে তার নিজের বিশেষভাবে ভালোলাগা কোনো গান আছে কী না জানতে চাইলে রিংকু বলেন, এর প্রতিটি গান ভালো লেগেছে বলেই করেছি। তবে আমার বিশেষ পছন্দ ‘গুরুর দয়া যার হয় সেই মানে/যে রূপে সাই বিরাজ করে দেহ ভুবনে’ গানটি।

রিংকুর এখন পর্যন্ত একক অ্যালবাম চারটি। ‘বাউল মন’ প্রথম অ্যালবাম। তারপর একে একে বেরিয়েছে ‘কানার হাট’, ‘গান পাগলা’ ও ‘হাওয়ার গাড়ি’।

জানালেন, গান নিয়ে তার বিস্তর পরিকল্পনা আছে। ঈদের পরে সিলেটের চার গীতি কবি রাধারমণ, দূরবীর শাহ, কারি আমির এবং  শীতলং শার গান নিয়ে একটি একক অ্যালবাম করবেন। শিরোনাম ‘জীবনের ঘড়িতে কয়টা বাজে’। এছাড়া একটি মৌলিক একক করবেন শিগগিরই। তবে এ সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ তিনি। তাই হাসতে হাসতেই বললেন ‘কিছু খবর থাকুক সামনের দিনের জন্য’।

গানই তার পেশা। তবে এর বাইরে  এ বছরের জুন মাসে সমমনা কয়েকজন ছোটভাই এবং বন্ধুবান্ধব নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেলেন ‘সম্পর্ক’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। ‘সম্পর্ক’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এবং এ নিয়ে তার পরিকল্পনা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে বলেন, ‘জীবিকার কারণে এখান থেকে আমরা প্যাকেজ নির্মাণ, অডিও-ভিডিও প্রযোজনা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করব। তবে আমাদের মূল পরিকল্পনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অংশ নেওয়া। যেমন চ্যারিটি শো করব এবং প্রকৃতিক দুর্যোগে বিপদগ্রস্তদের সহায়তা করবো। এছাড়া যারা অর্থনৈতিক কারণে সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ করতে পারছে না, তাদের সহায়তা করার পরিকল্পনাও আছে আমাদের।
এর বাইরে আরেকটি স্বপ্নের কথা জানালেন, ইচ্ছা আছে এখান থেকে একটি ‘লোকসঙ্গীত শীলন সংঘ’ প্রতিষ্ঠা করার, যেন শিল্পীরা এখানে লোকসঙ্গীত চর্চা করতে পারেন।

দেড় বছর হলো বিয়ে করেছেন তিনি। গত মাসে পারিবারিক ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল বিবাহ-উত্তর সংবর্ধনার। একটি সুখবরও দিলেন, আগামী জানুয়ারিতে তার পরিবারে যুক্ত হবে নতুন সদস্য। স্ত্রী সম্পর্কে তিনি বললেন, তিনি এখনো ছাত্রী। আমাকে সব কাজেই সহযোগিতা করেন। তবে নিজে কোনো সাংস্কৃতিক কর্মকা-ক্ষের সাথে যুক্ত হতে চান না।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৪৯, আগস্ট ১২, ২০১০    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।