এটিএন বাংলা
বেলা ১টা ৩০ মিনিট ॥ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বাংলা ছায়াছবি : জয়যাত্রা ॥আমজাদ হোসেনের গল্প অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন তৌকীর আহমেদ ॥ অভিনয়ে বিপাশা হায়াত, আজিজুল হাকিম, হুমায়ুন ফরীদি, আবুল হায়াত, চাঁদনী, মাহফুজ আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার প্রমুখ।
রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : চৈতা পাগল ॥ রচনা বৃন্দাবন দাস।
রাত ১১টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : চন্দ্রমগ্ন ॥ রচনা: বিপাশা হায়াত, পরিচালনা : তৌকীর আহমেদ ॥ অভিনয়ে মৌসুমী বিশ্বাস, তৌকীর আহমেদ, আবিদ রেহান, মৌটুসী, তাজ্জি, আল-মনসুর, শিরীন আলম, শামীমা নাজমিন, নিয়াজ মোহাম্মদ তারিক, হেলাল প্রমুখ ॥
এনটিভি
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : গ্রাজুয়েট ॥ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, হাসান মাসুদ, তিশা, বাধন, নাফিজা, শ্রাবন্তী, সেওতী, ঈশিতা, অন্নি, সোহেল খান, ফারুক আহমেদ, সি্িদ্দকুর রহমান, আমিরুল হক চৌধুরী, মম মোর্শেদ, শামীম, জয়রাজ, বাবর প্রমুখ ॥ গল্প : জাহিদ ৪ বার পরীা দিয়ে বিএ পাশ করেছেন। বরাবরই ইংরেজিতে ফেল করেছেন। তাই ইংরেজির প্রতি একটু বেশি আগ্রহ। এবং সে সবার সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করে যদিও সেগুলো ভুল ইংরেজী। একটু সহজ সরল বোকা প্রকৃতির ছেলে কিন্তু সৎ। জাহিদ নিজেকে গ্রেজুয়েট বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। তাই গ্রামের সবাই তাকে গ্রেজুয়েট বলে ডাকে। পরিবারে বয়স্ক মা বা ছাড়া আর কেউ নাই। কিন্তু কোথাও কোনো চাকুরী মিলে না। গ্রামের একটি মেয়েকে ভালবাসত। বেকার থাকার কারনে মেয়ের বাবা জাহিদের কাছে বিয়ে না দিয়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। জাহিদ সে কষ্ট বুকে নিয়ে ঢাকা শহরের উদ্ধেশ্যে রওনা দেয়। বাসে উঠে । বাসে উঠার পর ঘটতে থাকে মজার ঘটনা। ঢাকায় এসে একটি বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নেয় একটি শর্তে ১১মাস বাড়িটা ভাড়া পাবে আর এক মাস অন্যত্র থাকতে হবে। এক মাস ভাড়া না দেওয়ার কারন জাহিদ বের করে। বাড়ির মালিক সোহেল খান আসল মালিক না। আসলা মালিক লন্ডন প্রবাসী। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে দেশে আসে বেড়াতে। বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়া হাসান মাসুদ, আখম হাসান সহ আরো অনেকে। বাড়িতে উঠার পর শুরু হয় এক এক মজার কাহিনী।
বাংলাভিশন
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : জামাই মেলা ॥ বৃন্দাবন দাসের রচনা ও আজহারুল ইসলাম বাবুর পরিচালনায় ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শামীম জামান, আ.খ.ম. হাসান, আজিজুল হাকিম, ড. এনামুল হক, নোভা, আলভী, দিহান, শাহনাজ খুশি, পুতুল, বৃন্দাবন দাস, আনিসুল হক বরুন, সঞ্জীব আহমেদ, মিঠু, আলীম প্রমুখ। গল্প : বাংলাদেশের একটি গ্রাম। যে গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষই বিদেশে থাকে। আর মেয়েদেরকে বিয়ে ঘরজামাই দিয়ে ঘরজামাই রাখে। আর ঘরজামাইরা সব একটু মেরুদণ্ডহীন, কেউ বয়স্ক, কেউ ঠসা, কেউ কুজা, নানান রকম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ঘরজামাইরা এক পর্যায়ে এমনই শক্তিশালী হয়ে যায় যে, এলাকার প্রভাবশালী গ্র“প হিসেবে এলাকার পরিচালনা করতে থাকে। এতে করে গ্রামের কিছু যুবক ছেলেদের সাথে দ্বন্ধ শুরু হয়। জামাইরা এক সময় একটা জামাই মেলা করতে চায়। এ নিয়ে দ্বন্ধ শুরু হয়। এভাবে মজার আরও দ্বন্ধ নিয়ে এগোতে থাকে। নাটকের শেষের দিকে দেখা যাবে এই এলাকার যে সব গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিদেশে ছিলেন তারা এসে জামাইদের সাথে এলাকার সবার একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলবে এবং একটা জামাই মেলার আয়োজন করবে।
রাত ৯টা৪৫ মিনিট ॥ প্রতিদিনের ধারাবাহিক : গুলশান এভিনিউ ॥ নিমা রহমানের রচনা ও সতীর্থ রহমানের পর্ব-পরিচালনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাতা, তারিক আনাম খান, দিতি, মৌ, অপূর্ব, আতাউর রহমান, মিতা নূর, বাঁধন, আলভী, টুটুল, লিনা আহমেদ, প্রিসিলা পারভীন, শশী, নিসা, মাহমুদ সাজ্জাদ, মারুফ প্রমুখ। গল্প : আলী রেজা চৌধুরীর তিন পূত্র। শাহাদাৎ, শারাফাত ও শাফকাত। কিন্তু তিনজনের মধ্যে শুধু শাফকাত বাবার সঙ্গে থাকে। শাফকাতের স্ত্রী ইয়াসমিন। তাদের ৬ সন্তান। বড় ছেলে শামীম, মেঝো নাসিম ও ছোট ওয়াসিম। শামীমের স্ত্রী ফারজানা। কিন্তু ঘরে স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বেও সে খুঁজে বেড়ায় অন্য কাউকে? নাসিমে স্ত্রী লাবনীর উঁচু বংশের অহমিকা সংসারে ঝড় আনে। ছোট ছেলে ওয়াসিমের সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে সামিয়ার সঙ্গে। কিন্তু সংসারে পা দিতেই তার নাম হয়ে যায় অলুণে। দাদী সহ্য করতে পারে না সামিয়াকে। এ বাড়ির মেয়ে ফারাহ ভালোবেসে বিয়ে করেছিল উঠতি গায়ক কবীরকে। কিন্তু এখন ফারাহ’র বাবা-মা চায় কবীরকে যেন ফারাহ ডিভোর্স দেয়। একসময় লন্ডন থেকে রেহানা নামের এক মেয়ে ঢাকায় এসে শাফকাতের কাছে দাবী করে পাঁচ কোঁটি টাকা।
দেশ টিভি
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : অনুভূমি ॥ এজাজ মুন্নার রচনা ও হুমায়ূন ফরীদি পরিচালনায় এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আবুল হায়াত, ডলি জহুর, আনিসুর রহমান মিলন, লিটু আনাম, শাহেদ শরীফ খান, সাদিয়া ইসলাম মৌ, জাকিয়া বারী মমসহ আরো অনেকে।
গল্প : দুই বোন অনুলেখা আর ভুমিকা কে নিয়ে এই গল্পের শুরু। বাবা চাকুরি করেন, মা গৃহীনি। অনুভুমিও চাকুরী করে, সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের অবদানও কম নয়। এর মধ্যে দু বোনের বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়, ঠিক সেই মহূর্তে ওদের বাবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এগিয়ে আসেন ফুফুু। ভাইয়ের চিকিৎসা ধেকে সুরু করে ওদের বিয়ে দেওয়া অব্দি সব দায়িত্ব পালন করেন। বিয়ে হয়ে যায় অনু আর ভুমির। কিছুদিন পর যখন ওদের বর দাওয়াত খেতে আসে অনু, ভুমির বাসায়, ঠিক সেই সময় উপস্থিত হয় ওদের বাবা। তিনি মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় উঠেন।
জামাই দুজন জিজ্ঞেস করে ভদ্রলোক কে ? কারন বিয়ের আগে বর পকে বলেছেন অনু ভুমির বাবা মারা গেছেন। চরম সংকট নেমে আসে সংসারে। বাবাও নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করে। ফুফু দায়িত্ব নেন সমস্যাটা সমাধানের। কিন্তু তিনি জামাইদের বলতে সাহস পাননা। এই চরম সংকটে একদিন অনু, ভূমি তাদের জামাইয়ের কাছে- তাদের বাবার সমস্যার কথা। জামাই দুজন শুনে অবাক হয়। তারা ভৎসনা করে মিথ্যে বলার জন্য। দুবোন সংসার ছেড়ে সেপারেশানে চলে যেতে বাধ্য হয়। ফুফু কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না। এগিয়ে আসে আদিব, যার সাথে অনুর বিয়ে হওয়ার কথা হয়েছিলো। সে সব শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু অনু সাহায্য নেয় না। বাবা নিজেই হাজির হয় জামাইয়ের বাসায়। নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলে। জামাইরা নির্বিকার, তারা কোন উত্তর দেয়না। সময় যায়।
এদিকে ফুফু কিয়েতে টাকা খরচের হিসাব দেয়। বাবা বাধ্য হয় বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে টাকা দিতে। হঠাৎ একদিন বাবা ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান। জামাইদের খবর দেয়া হয়, তারা আসে। কথাবার্তা হয়। অনু, ভুমিকে ফিরিয়ে নিতে চায়, কিন্তু অনু, ভুমি রাজি হতে চায় না। মা বোঝানোর চেষ্টা করে অনু ও ভূমি কোন ভাবেই সম্মতি দেয় না। এগিয়ে আসে আদিব। জামাইদের মুখোমুখি হয়।
রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : যাও পাখি ॥ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে আজাদ আবুল কালামের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস ॥ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-আবুল হায়াত, দিলারা জামান, আমিরুল হক চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, বিজরী বরকত উল্লাহ, চাঁদনি, গোলাম ফরিদা ছন্দা, সোলায়মান খোকা, নুরুল আলম মিল্কি, আজিজুল হাকিম, নাজনিন চুমকী, লিনা আহমেদ, রেজওয়ানা রাহি, জয়া রায়, আনান, পীরজাদা শহীদুল হারুন, তিতাস, তাঙ ময়ন, কাজী তামান্না তৃশা, শান্তা, শাহজালাল, মুগ্ধ, ওয়াফা, রনি, আবুহেনা চৌধুরী, যায়েদ বিন করিম বাচ্চু, হারুনুর রশিদ, মোশতাক হোসেন, জুয়েল, রাসেল, জয়া, জেমী, অধোরা, অহিলা, মোঃ বারেক, বিকাশ, পলাশ, মামুন, নিশু, ছবি। গল্প : সংসারটাকে কারো কারো কাছে খুবই আঁটোসাঁটো লাগে, যেমন লাগে যাওপাখি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কর্তার। কর্তার নিজের সংসারে মতি নেই, তিনি পৃথিবীটাকে নিজের সংসার মনে করেন। বউ ছেলেমেয়ের চাহিদার কাছে নত না হয়ে তিনি পালিয়ে বেড়ান ঘুরে বেড়ান মানুষগড়ার জন্যে, এগ্রাম থেকে সে গ্রাম। ঘরে ঘরে মানুষকে ভালো হবার কথা, আশার কথা, নীতিকথা, মিলেমিশে থাকার কথা শুনিয়ে বেড়ান। অচেনা অজানা গ্রামে তিনি সৎ ও সত্যে আদর্শ প্রচার করে বেড়ান। কর্তা ঘুরতে ঘুরতেই আবিষ্কার করেন বহেরু নামের এক আশ্চর্য মানুষকে। বহেরু কর্তার কিছু দেখাশোনা করেন। বহেরুর নামে গ্রামের নাম বহেরুগ্রাম। সে গ্রামজুড়ে নানান আজব জিনিস। আজব মানুষ। ধান চাল সবজি মাছ ইত্যাদির প্রাচুর্যেভরা বহেরুর বাড়ি। বহেরুর বাড়িতেই কর্তার আপাত ঠিকানা। বহেরুর বাড়িতে আছে চিড়িয়াখানা। আছে তাঁতী, সাঁওতালসহ নানান পদের মানুষ। বহেরু শক্ত সমর্থ উদার মানুষ। কর্তার দুই ছেলে রণেন আর সৌমেন, এক মেয়ে শীলা। রণেন আর শীলা বিবাহিত। সৌমেন চাকরি খুঁজছে, আড্ডা দেয়, টিউশানি করে। মাঝে মাঝে মার কথামতো বহেরুর বাড়িতে যায় বাবার খোঁজ খবর নিতে। বাবার সঙ্গে দেখা হয়, হয় না। বহেরুর বাড়ি থেকে কিছু ধান চাল সবজি মাঝে মাঝে নিয়ে আসে। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকাও কখনো কখনো আনে মায়ের তাগাদায়। কর্তা সংসার থেকে আলগা, কিন্তু বাঁধনছেঁড়া নন। রণেনের বউ বীণার শাশুড়ির সঙ্গে কথাকাটাকাটি করে, ছেলেপুলে বুকে আলগে রাখে। স্বামীকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে। কর্তার বড়ো ছেলে বড়ো চাকুরে। উপার্জন মন্দ নয়, কিন্তু বাহুল্য খরচ আছে তার, অন্য নারীতে তার আসক্তি আছে, যা তার চালচলনে ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৯৩৬ , আগস্ট ১৩ , ২০১০