নিজের বানানো সিনেমার মতোই জীবনটাকে বর্ণাঢ্যভাবে তিনি উপভোগ করতে চান। প্রিয় মুহূর্ত উদযাপনের জন্য ভিন্ন পরিবেশ খুঁজতে তিনি ছুটতে পারেন যোজন যোজন দূরে।
তার এক মুখপাত্র জানান, মীর-১ নামের একটি ডুবোযানে চেপে ক্যামেরন বৈকালের তলদেশে গিয়ে পৌঁছান। ডুবোযানের চালক আনাতোলি সাগালেভিস জানান, হ্রদের ২০০ মিটার গভীরে ক্যামেরন টানা ৩টি ঘন্টা কাটিয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে আর মহা-আনন্দে। তবে এ ধরণের যানে চড়ার অভিজ্ঞতা ক্যামেরনের এটাই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ ছবিটি নির্মাণের সময়ও এমন অভিজ্ঞতা তার হয়েছে।
জেমস ক্যামেরনের এই অভিনব জন্মদিন উদযাপনের কথা প্রচার মাধ্যমগুলোকে ঘুণাক্ষরেও জানানো হয়নি। সাংবাদিক আর পাপারাৎসিদের কবলে কেইবা পড়তে চায়! এ বিষয়ে ট্যুরগাইড প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রিয়া নোভোস্তি জানান, বিশ্বখ্যাত পরিচালক ক্যামেরন ব্যক্তিগত ভ্রমণে এখানে আসবেন। এটা আগেভাগে প্রচার হয়ে যাক তা আমরা কোনোভাবেই চাইনি। তাহলে কী আর ওর ভক্তকুলকে সামাল দেওয়া যেতো! তাই ব্যাপারটা গোপন রেখে মুসকিল আসান। ওর আগমন আমাদের জন্য আনন্দ আর সম্মানের।
এ বছর রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী আলেক্সি কুদরিন আর গত বছর প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুতিনও ছোট্ট ডুবোযানে চড়ে হ্রদের তলদেশ ঘুরে আসেন। এছাড়া গত জুলাই এর মাঝামাঝি সময়ে মঙ্গোলিয়ান রাষ্ট্রপতি সাকিয়াগিন ইলবেগদোরজ প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে হ্রদের তলদেশ ভ্রমণ করেন। সে সময় তিনি হ্রদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০০ কোটি রুবল দানের ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪২৫, আগস্ট ১৬, ২০১০