আমাদের চেনা জগতেই আছে অশরীরী অনেককিছুর অস্তিত্ব। যদিও আমরা অনেকে ভূত, প্রেত, আত্মা বিশ্বাস করি না।
‘হেল্প’ ছবির দৃশ্যপটগুলো সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ভয় পাইয়ে দিবার মত। ছবির কাহিনীতে দেখা যায়, ভৌতিক সিনেমার পরিচালক ভিক (ববি দেওল) এবং তার স্ত্রী পিয়া (মুগ্ধা গোডসে)। তাদের দাম্পত্য জীবনটাও কেটে যাচ্ছিল সুখেই। হঠাৎ বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে মরিসাসে পাড়ি জমায় ভিক-পিয়া দম্পতি, যেখানে কেটেছে পিয়ার শৈশব। পিয়ার মনে ছিল না যে, পাচঁ বছর বয়সে এক ভয়বাহ দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে মরিসাসের ঘর ছেড়েছিল সে। বহু বছর পর মরিসাস এসে আবারও সেই দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হয় পিয়া। বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া ভয় আর শংকার অন্ধকার ছোবল এগিয়ে আসে পিয়াকে ল্য করে। অশুভ আত্মার প্রভাবে পিয়ার হাতে খুন হয় তার খুব কাছের মানুষগুলো। দিন দিন পিয়ার হিংস্রতা শুধু বাড়তেই থাকে। একসময় ভিক জানতে পারে পিয়া মা হতে চলেছে। কিন্তু শুভ সংবাদটির আনন্দের পাশাপাশি সে পিয়ার উপর অশুভ আত্মার ভর করার খবরও পেয়ে যায়। ভিক তন্ত্র-মন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পারে, পিয়ার উপর ভর করা অশুভ আত্মাটি পাঁচ বছর বয়সে মারা যাওয়া পিয়ারই জমজ বোন দিয়ার। অশুভ আত্মার প্রভাবে পিয়ার পাগলামো সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে ভিক শরণাপন্ন হয় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আদিত্যের। মনোরোগ চিকিৎসকের সাহায্যে ভিক জানতে পারে মাত্র ছত্রিশ ঘণ্টা সময়ের মধ্যেই ভেদ করতে হবে সব রহস্যের জাল। কিন্তু কি সেই অতৃপ্ত আত্মার অপূর্ণ মনোবাসনা! পিয়াকে সেই দুর্বিষহ দুঃস্বপ্নের হাত থেকে বাচাঁতে হবে। নয়তো ঘটে যেতে পারে কোনও ভয়ংকর ঘটনা। এমকি মৃত্যুও। এইসব ভয়ংকর কাহিনী নিয়ে গত ১৩ আগস্ট মুক্তি পায় থ্রিলার হরর ছবি ‘হেল্প’। ছবিতে ববি দেওল, মুগ্ধা গোডসে ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোফিয়া হান্ডা, শ্রেয়াস তালপাড়ে প্রমুখ।
চলচ্চিত্র সমালোকচরা মনে করছেন, কাহিনীর গৎবাঁধা নিয়ম ‘হেল্প’ ছবির গন্ডিকে আলাদা কিছু হতে দেয় নি। এখন ছবিটির সাফল্য পুরোপুরিই নির্ভর করছে নির্মাণ শৈলীর ওপর। কেননা সাম্প্রতিক থ্রিলার হরর ছবি ‘কিক’ কিংবা রাম গোপাল ভার্মার ‘ফুঁক-টু’ বক্স অফিসে ততটা সাফল্য পায়নি। তাছাড়া একই সময়ে মুক্তি পেয়েছে আমির খান প্রযোজিত ‘পিপলি লাইভ’। যা বলিউডে মুক্তির আগেই বিদেশের মাটিতে হিট। তাই বলা যায়, এ ছবির সাফল্য পরিচালক রাজীব ভিরানীর কাছে বেশ বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে দৃশ্যায়নে নতুনত্বই তাকে নিয়ে যেতে পারে সফলতার পথে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬২০, আগস্ট ১৬, ২০১০