বড় ধরনের এক দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন অস্কার বিজয়ী অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক মেল গিবসন। গত মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবু দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি।
তার দামি স্পোর্টস কারটি পাহাড়ের ঢালু দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যায়। গাড়িটি বিধ্বস্থ হলেও প্রাণে বেঁচে যান মেল গিবসন । এমনকি এই দূর্ঘটনায় তিনি মোটেও আঘাত পাননি বলে জানিয়েছে তার মুখপাত্র।
মিল গিবসনের এই দুর্ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। পুলিশী তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গাড়ি চালানোর সময় গিবসন মাতাল ছিলেন এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি তিনি গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলেও কথা বলছিলেন না কিংবা ঘুমিয়েও পড়েন নি। এরপরও তার গাড়ি কীভাবে রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গেল সেটা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাতের বেলা তিনি কেনো ওই রাস্তার একেবারে পাশ দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাহলে কী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন তিনি? সমালোচকরা মধ্যে এসব প্রশ্ন উসকে দিয়ে মুখ বন্ধ করে আছেন গিবসন। তবে অনেকে মনে করছেন তার সাবেক রুশ বান্ধবী ওকসানা গ্রিগোরিয়েভারকে মারধর এবং তাদের একমাত্র সন্তান কার কাছে থাকবে, বাবা নাকি মা; এই নিয়ে দুজনের মধ্যে যে আইনি লড়াই চলছে, তার প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হয়ে তিনি হয়তো আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন।
প্রাণে বেঁচে গেলেও মেল গিবসন সম্ভবত ফেঁসে যেতে পারেন, কেননা হলিউডের আরেক তারকা লিন্ডসে লোহানকে কিছুদিন আগেই ৯০ দিনের সাজা দিয়েছে আদালত। তাঁর অপরাধ ছিল মাদক সঙ্গে রাখা, মদ্যপান করে বেসামাল গাড়ি চালানো এবং একাধিকবার আদালতের নির্দেশ না মেনে আদালত অবমাননা। যদিও এখন পর্যন্ত তদন্তে গিবসনের মদ্যপান করে বেসামাল গাড়ি চালানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয় নি, তবে এরকম কোনো কু যদি পাওয়া যায় তাহলে নিস্তার পাবেন না তিনিও।
মেল গিবসন একাধারে অভিনেতা, দ চলচ্চিত্র পরিচালক ও সফল প্রযোজক। ১৯৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কের পিকস্কিলে মেল গিভসনের জন্ম । তার মায়ের নাম অ্যানি রেইলি গিভসন এবং বাবার নাম হাটন গিভসন । থিয়েটারের প্রতি আজন্ম টানের কারণেই গিবসন ১৯৯০ সালে নির্মাণ করেন উইলিয়াম শেক্সপিয়রের কাহিনী নিয়ে ‘হ্যামলেট’ ছবিটি। তবে মূলত ‘ব্রেভহার্ট’ ছবির মাধ্যমেই মানুষের কাছে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। মেল গিবসন নির্মিত আরো দুটি আলোচিত ছবি হলো ‘দ্যা প্যাশন অব দ্য ক্রিস্ট’ ও ‘এপোকিলিপ্টো’।