এটিএন বাংলা
রাত ০৮টা ॥ ধারাবাহিক নাটক : প্রজাপতি মন’ (৩৬ পর্ব) ॥ রচনা :ফেরদৌস হাসান, পরিচালনা : ফজলুর রহমান। অভিনয়ে : মীর সাব্বির, সুমাইয়া শিমু, নাদিয়া, মৌসুমী বিশ্বাস, শাহরিয়ার নাজিম জয়, মাজনুন মিজান, আবুল হায়াত, ডলি জহুর, রহমত আলী, ওয়াহিদা মলিক, ফখরুল হাসান বৈরাগী প্রমূখ ॥
রাত ০৮টা ৪০মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : উপসংহার (০৬ পর্ব) ॥ রচনা ও পরিচালনা : বদরুল আনাম সৌদ।
রাত ০৯টা ২০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক ‘লীলাবতী’ (২১ পর্ব) ॥ উপন্যাসঃ হুমায়ূন আহমেদ, নাট্যরূপ ও পরিচালনাঃ অরুণ চৌধুরী ॥ অভিনয়েঃ শহীদুজ্জামান সেলিম, তমালিকা, আরেফিন শুভ, তিন্নী, হিলোল, নোভা ফিরোজ, বিন্দু, প্রভা, আসিব প্রমূখ ॥
রাদ ১০টা ৫৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক :অচেনা মানুষ (৩২ পর্ব) ॥ পরিচালনা : রিপন নবী ॥ অভিনয়ে : আফরোজা বানু, গাজী রাকায়েত, কুমকুম হাসান, শামস সুমন, তমালিকা, অপূর্ব, সোহানা সাবা, আলিফ করভী মিজান প্রমূখ ॥
রাত ১১টা ৩০ মিনিট ॥ ধারবাহিক নাটক : আমাদের সংসার (৩৪ পর্ব) ॥ রচনা ও পরিচালনা : ইদ্রিস হায়দার ॥ অভিনয়ে : রাইসুল ইসলাম আসাদ, দিলারা জামান, তুষার খান, হাসান মাসুদ, দিতি, রোকেয়া প্রাচী, আফরোজা বানু, সোহেল খান, লুৎফর রহমান জর্জ, রহমত আলী, ফারুক আহমেদ, ইলোরা গহর, আরেফিন শুভ, মৌসুমী বিশ্বাস, নাজনীন হাসান চুমকী, চিত্রলেখা গুহ, মনিরা মিঠু, সিদ্দিকুর রহমান, প্রাণ রায়, জয়রাজ, তনিমা হামিদ, আগুন, মাজনুন মিজান, রুনা খান, আখম হাসান প্রমূখ ॥
চ্যানেল আই
বেলা ১টা ৩০ মিনিট ॥ বাংলা ছায়াছবি : পিতা মাতা সন্তান ॥ এ জে মিন্টু নির্মিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন আলমগীর, শাবানা, আনোয়ার, নূতন প্রমুখ ॥
রাত ৯.৩৫ মিনিট ॥ হৃদয়ে মাটি ও মানুষ ॥ অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করছেন শাইখ সিরাজ ॥ রমজানে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারেও বেড়েছে এদেশের সবজির চাহিদা। কৃষক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ছে সবজি রপ্তানির। ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ি ও রপ্তানিকারকরাও। এর ভেতরেও রয়েছে কিছু সংকট ও প্রতিবন্ধকতা। যেগুলো দূর করা গেলে সবজি রপ্তানিও খুলে দিতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের এক বড় দীগন্ত। এনিয়ে আজকের পর্বে রয়েছে একমাত্র প্রতিবেদন ॥
রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : চৈতা পাগল ॥ রচনা বৃন্দাবন দাস, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মাহফুজ আহমেদ ॥ নোয়াখালির আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত এ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, মাহফুজ আহমেদ, বাঁধন, রওনক হাসান, সোহেল খান, মৌসুমি বিশ্বাস, লুৎফর রহমান জর্জ, সিদ্দিকুর রহমান, মাহমুদুল মিঠু, মনিরা মিঠু, আব্দুল্লাহ রানা, মাজনুন মিজান, শুভ্র, মিশো, আরফান, রিফাত চৌধুরী প্রমুখ ॥
রাত ১১টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : চন্দ্রমগ্ন ॥ রচনা : বিপাশা হায়াত, পরিচালনা : তৌকীর আহমেদ ॥ অভিনয়ে মৌসুমী বিশ্বাস, তৌকীর আহমেদ, আবিদ রেহান, মৌটুসী, তাজ্জি, আল-মনসুর, শিরীন আলম, শামীমা নাজমিন, নিয়াজ মোহাম্মদ তারিক, হেলাল প্রমুখ ॥
এনটিভি
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : গ্রাজুয়েট ॥ মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান, হাসান মাসুদ, তিশা, বাধন, নাফিজা, শ্রাবন্তী, সেওতী, ঈশিতা, অন্নি, সোহেল খান, ফারুক আহমেদ, সি্িদ্দকুর রহমান, আমিরুল হক চৌধুরী, মম মোর্শেদ, শামীম, জয়রাজ, বাবর প্রমুখ ॥ গল্প : জাহিদ বয়স ৩২। ৪ বার পরীা দিয়ে বিএ পাশ করেছেন। বরাবরই ইংরেজিতে ফেল করেছেন। তাই ইংরেজির প্রতি একটু বেশি আগ্রহ। সে সবার সাথে ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করে যদিও সেগুলো ভুল। একটু সহজ সরল বোকা প্রকৃতির ছেলে কিন্তু সৎ। জাহিদ নিজেকে গ্রেজুয়েট বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। তাই গ্রামের সবাই তাকে গ্রেজুয়েট বলে ডাকে। পরিবারে বয়স্ক মা বা ছাড়া আর কেউ নাই। কিন্তু কোথাও কোনো চাকরি মিলে না। গ্রামের একটি মেয়েকে ভালবাসত। বেকার থাকার কারনে মেয়ের বাবা জাহিদের কাছে বিয়ে না দিয়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। জাহিদ সে কষ্ট বুকে নিয়ে ঢাকা শহরের উদ্ধেশ্যে রওনা দেয়। বাসে উঠে । বাসে উঠার পর ঘটতে থাকে মজার ঘটনা। ঢাকায় এসে একটি বাড়িতে একটি রুম ভাড়া নেয় একটি শর্তে ১১মাস বাড়িটা ভাড়া পাবে আর এক মাস অন্যত্র থাকতে হবে। এক মাস ভাড়া না দেওয়ার কারন জাহিদ বের করে। বাড়ির মালিক সোহেল খান আসল মালিক না। আসল মালিক লন্ডন প্রবাসী। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে দেশে আসে বেড়াতে। বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়া হাসান মাসুদ, আখম হাসান সহ আরো অনেকে। বাড়িতে উঠার পর শুরু হয় এক এক মজার কাহিনী ॥
বাংলাভিশন
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : জামাইমেলা ॥ রচনা: বৃন্দাবন দাস, পরিচালনা: আজহারুল আলম বাবু ॥ অভিনয়ে : মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শামীম জামান, আ.খ.ম. হাসান, আজিজুল হাকিম, ড. এনামুল হক, নোভা, আলভী, দিহান, শাহনাজ খুশি, বৃন্দাবন দাস প্রমুখ ॥
রাত ৯টা ০৫মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক ‘চন্দ্রবিন্দু’; রচনা ও পরিচালনা: ইদ্রিস হায়দার; অভিনয়ে: পারভীন সুলতানা দিতি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, সজল, বিন্দু, প্রাণ রায়, ফারুক আহমেদ, তানজিকা, আগুন, মৌসুমী বিশ্বাস, নোভা, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ ॥
রাত ৯ টা ৪৫ মিনিট ॥ প্রতিদিনের ধারাবাহিক ‘গুলশান এভিনিউ’। রচনা ও পরিকল্পনা: নিমা রহমান; পর্ব পরিচালনা: সতীর্থ রহমান। অভিনয়ে: সুজাতা, তারিক আনাম খান, দিতি, মৌ, অপূর্ব, আতাউর রহমান, মিতা নূর, বাঁধন, আলভী, টুটুল, লিনা আহমেদ, প্রিসিলা পারভীন, শশী, নিসা, মাহমুদ সাজ্জাদ, মারুফ প্রমুখ ॥
একুশে টিভি
সকাল ১০টা ॥ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমূলক অনুষ্ঠান : দেহঘড়ি (সরাসরি সম্প্রচার) ॥ বিষয় : চোখের ল্যাসিক চিকিৎসা। অতিথি ডাক্তার হিসেবে থাকছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কনসালট্যান্ট এবং ল্যাসিক, ফ্যাকো ও গোকমা সার্জন ডা. হারুন-উর-রশিদ ॥ এ রোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে স্টুডিওতে সরাসরি টেলিফোনে এবং এসএমএস এ পাওয়া প্রশ্নের চিকিৎসা পরামর্শ জানানো হবে। সেইসঙ্গে এ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি নির্ধারিত রোগটির বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কেও পরামর্শ জানাবেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ॥ রিশিতা জাহান এবং সাইফুল ইসলামের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সেবাদানকারী হাসপাতালসমূহ, নতুন রোগ, নতুন চিকিৎসা এবং একজন সেলিব্রিটির অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা সম্প্রচারিত হয় ॥
রাত ০৯টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : ভাবী ॥ মানস পালের রচনা এবং দেবাশীষ বড়–য়া দীপের পরিচালনায় নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন বন্যা মির্জা, সোয়েব, সজল, জ্যোতিকা জ্যোতি, নাফিজা, সীমানা, ইনামুল হক, শামীম, শিরীন আলম প্রমূখ ॥ গল্প : মম’র দেবর নিবিড়। পড়াশুনা শেষ করে বন্ধুদের নিয়ে মহলায় মাতব্বরী করাই তার কাজ। মানুষের বিপদ আপদে এগিয়ে আসতে সে সদা প্রস্তুত। সংসারে তাকে নিয়ে ঝামেলার অন্ত নেই। তাকে ভালবাসে অর্ণি নামের এক মেয়ে। অর্ণি একটু বেশি কথা বলে। অর্ণিকে সে পছন্দ করেনা। তার ভাললাগে পরিচয় লুকিয়ে নিয়মিত যে মেয়েটা কথা বলে। যদিও তাকে সে দেখেনি তারপরও তার প্রতি দুর্বলতা যেন একটু বেশি কাজ করে। এই মেয়ে আর কেউই নয় তার ভাবীর ছোট বোন অধরা। বেয়াইয়ের সাথে মিথ্যে দুষ্টুমি করতে করতে এখন সে তার প্রতি চরম দুর্বল। একদিন দুজন দুজনের মধ্যে মুখোমুখি হয় ॥
দেশ টিভি
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক :অনুভূমি ॥এজাজ মুন্নার রচনা ও হুমায়ূন ফরীদি পরিচালনায় বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, ডলি জহুর, আনিসুর রহমান মিলন, লিটু আনাম, শাহেদ শরীফ খান, সাদিয়া ইসলাম মৌ, জাকিয়া বারী মমসহ আরো অনেকে। কাহিনী সংপে: দুই বোন অনুলেখা আর ভুমিকা কে নিয়ে এই গল্পের শুরু। বাবা চাকুরি করেন, মা গৃহীনি। অনুভুমিও চাকুরী করে, সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদের অবদানও কম নয়। এর মধ্যে দু বোনের বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়, ঠিক সেই মহূর্তে ওদের বাবা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এগিয়ে আসেন ফুফুু। ভাইয়ের চিকিৎসা ধেকে সুরু করে ওদের বিয়ে দেওয়া অব্দি সব দায়িত্ব পালন করেন। বিয়ে হয়ে যায় অনু আর ভুমির। কিছুদিন পর যখন ওদের বর দাওয়াত খেতে আসে অনু, ভুমির বাসায়, ঠিক সেই সময় উপস্থিত হয় ওদের বাবা। তিনি মানসিক হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় উঠেন। জামাই দুজন জিজ্ঞেস করে ভদ্রলোক কে ? কারন বিয়ের আগে বর পকে বলেছেন অনু ভুমির বাবা মারা গেছেন। চরম সংকট নেমে আসে সংসারে। বাবাও নিজেকে অপরাধী ভাবতে শুরু করে। ফুফু দায়িত্ব নেন সমস্যাটা সমাধানের। কিন্তু তিনি জামাইদের বলতে সাহস পাননা। এই চরম সংকটে একদিন অনু, ভূমি তাদের জামাইয়ের কাছে- তাদের বাবার সমস্যার কথা। জামাই দুজন শুনে অবাক হয়। তারা ভৎসনা করে মিথ্যে বলার জন্য। দুবোন সংসার ছেড়ে সেপারেশানে চলে যেতে বাধ্য হয়। ফুফু কোন ভূমিকা পালন করতে পারে না। এগিয়ে আসে আদিব, যার সাথে অনুর বিয়ে হওয়ার কথা হয়েছিলো। সে সব শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। কিন্তু অনু সাহায্য নেয় না। বাবা নিজেই হাজির হয় জামাইয়ের বাসায়। নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলে। জামাইরা নির্বিকার, তারা কোন উত্তর দেয়না। সময় যায়।
এদিকে ফুফু কিয়েতে টাকা খরচের হিসাব দেয়। বাবা বাধ্য হয় বাড়িটা বিক্রি করে দিয়ে টাকা দিতে। হঠাৎ একদিন বাবা ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যান। জামাইদের খবর দেয়া হয়, তারা আসে। কথাবার্তা হয়। অনু, ভুমিকে ফিরিয়ে নিতে চায়, কিন্তু অনু, ভুমি রাজি হতে চায় না। মা বোঝানোর চেষ্টা করে অনু ও ভূমি কোন ভাবেই সম্মতি দেয় না। এগিয়ে আসে আদিব। জামাইদের মুখোমুখি হয় ॥
রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : যাও পাখি ॥ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে আজাদ আবুল কালামের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন অম্লান বিশ্বাস ॥ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, আমিরুল হক চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, আজাদ আবুল কালাম, বিজরী বরকত উল্লাহ, চাঁদনি, গোলাম ফরিদা ছন্দা, সোলায়মান খোকা, নুরুল আলম মিল্কি, আজিজুল হাকিম, নাজনিন চুমকী, লিনা আহমেদ, রেজওয়ানা রাহি, জয়া রায়, আনান, পীরজাদা শহীদুল হারুন, তিতাস, তাঙ ময়ন, কাজী তামান্না তৃশা, শান্তা, শাহজালাল, মুগ্ধ, ওয়াফা, রনি, আবুহেনা চৌধুরী, যায়েদ বিন করিম বাচ্চু, হারুনুর রশিদ, মোশতাক হোসেন, জুয়েল, রাসেল, জয়া, জেমী, অধোরা, অহিলা, মোঃ বারেক, বিকাশ, পলাশ, মামুন, নিশু, ছবি। গল্প : সংসারটাকে কারো কারো কাছে খুবই আঁটোসাঁটো লাগে, যেমন লাগে যাওপাখি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কর্তার। কর্তার নিজের সংসারে মতি নেই, তিনি পৃথিবীটাকে নিজের সংসার মনে করেন। বউ ছেলেমেয়ের চাহিদার কাছে নত না হয়ে তিনি পালিয়ে বেড়ান ঘুরে বেড়ান মানুষগড়ার জন্যে, এগ্রাম থেকে সে গ্রাম। ঘরে ঘরে মানুষকে ভালো হবার কথা, আশার কথা, নীতিকথা, মিলেমিশে থাকার কথা শুনিয়ে বেড়ান। অচেনা অজানা গ্রামে তিনি সৎ ও সত্যে আদর্শ প্রচার করে বেড়ান। কর্তা ঘুরতে ঘুরতেই আবিষ্কার করেন বহেরু নামের এক আশ্চর্য মানুষকে। বহেরু কর্তার কিছু দেখাশোনা করেন। বহেরুর নামে গ্রামের নাম বহেরুগ্রাম। সে গ্রামজুড়ে নানান আজব জিনিস। আজব মানুষ। ধান চাল সবজি মাছ ইত্যাদির প্রাচুর্যেভরা বহেরুর বাড়ি। বহেরুর বাড়িতেই কর্তার আপাত ঠিকানা। বহেরুর বাড়িতে আছে চিড়িয়াখানা। আছে তাঁতী, সাঁওতালসহ নানান পদের মানুষ। বহেরু শক্ত সমর্থ উদার মানুষ। কর্তার দুই ছেলে রণেন আর সৌমেন, এক মেয়ে শীলা। রণেন আর শীলা বিবাহিত। সৌমেন চাকরি খুঁজছে, আড্ডা দেয়, টিউশানি করে। মাঝে মাঝে মার কথামতো বহেরুর বাড়িতে যায় বাবার খোঁজ খবর নিতে। বাবার সঙ্গে দেখা হয়, হয় না। বহেরুর বাড়ি থেকে কিছু ধান চাল সবজি মাঝে মাঝে নিয়ে আসে। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকাও কখনো কখনো আনে মায়ের তাগাদায়। কর্তা সংসার থেকে আলগা, কিন্তু বাঁধনছেঁড়া নন। রণেনের বউ বীণার শাশুড়ির সঙ্গে কথাকাটাকাটি করে, ছেলেপুলে বুকে আলগে রাখে। স্বামীকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করে। কর্তার বড়ো ছেলে বড়ো চাকুরে। উপার্জন মন্দ নয়, কিন্তু বাহুল্য খরচ আছে তার, অন্য নারীতে তার আসক্তি আছে, যা তার চালচলনে ধরা পড়ে। সৌমেন, আধুনিক মনস্ক। তাঁর বন্ধুবান্ধবীভাগ্য ভালোই। তাদের সঙ্গে তুমুল আড্ডা হয়। শহর আর গ্রামের আধুনিক মিশ্র জীবনের স্বাদ পাওয়া যায় যাও পাখিতে ॥
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯০৫ আগস্ট ২০, ২০১০