পপসম্রাট ও মুক্তিযোদ্ধা আজম খান মুখগহ্বর-ক্যান্সারের সফল অস্ত্রোপচারের পর ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে তিনি অবতরণ করেন।
পপসম্রাট আজম খান মুখগহ্বরে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ২০ জুলাই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। একমাসের বেশি সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ সময় একাধিকবার তার উপর ট্রমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়।
আজম খান দেশে ফিরে এলেও এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেননি। পুরোপুরি ক্যান্সারমুক্ত হতে হলে তাকে আরো কয়েকবার ব্যয়বহুল ট্রমোথেরাপিসহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে, যার ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই। শিল্পীর বড় মেয়ে ইমা খান জানান, ঈদের পর আজম খানকে আবার সিঙ্গাপুর যেতে হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে তার উপর পুনরায় থেরাপি প্রয়োগ শুরু হবে। ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার অর্থসংস্থান নিয়ে শিল্পীর পরিবার বেশ চিন্তিত। অবশ্য এ বিষয়ে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা)সহ সঙ্গীতশিল্পীরা সম্মিলিতভাবে আজম খানের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
মুক্তিযোদ্ধা-শিল্পী আজম খান শঙ্কামুক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসতে পারায় তার চিকিৎসা সাহায্যে যারা এগিয়ে এসেছেন তাদের ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে অস্ত্রোপচারের প্রতিক্রিয়ায় এখনো শিল্পীর মুখের কথা জড়িয়ে যায় এবং চিকিৎসকরা তাকে প্রয়োজন ছাড়া কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান আজম খানের সফরসঙ্গী ও ছোটছেলে হৃদয় খান। তিনি আরো জানান, পরবর্তী চিকিৎসায় এই জড়তা থাকবে না এবং শিল্পী আবারও গান গাইতে পারবেন ।
আজম খান বর্তমানে তার কমলাপুরের কবি জসীমউদদীন রোডের নিজ বাসভবনে আছেন। শিল্পীকে একনজর দেখতে ভক্ত-সতীর্থরা ভিড় করছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৫০, আগস্ট ২৫, ২০১০