আমাদের টিভিনাটক নিয়ে মাঝেমধ্যেই চলে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এবার ঈদে এধরনের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখা যাবে দেশটিভিতে।
‘হিমু, মিসির আলী, বড় চাচা ও বাকের ভাই’ ধারাবাহিকটি সম্পর্কে নির্মাতা রেদোয়ান রনী বলেন, কোন ধারাবাহিক নাটকের একটি চরিত্রের পরিণতি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কী রকম উন্মাদনা তৈরি হতে পারে তার নমুনা দেখা গেছে হুমায়ূন আহমেদের নাটকে। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে বিভিন্ন জনপ্রিয় চরিত্রের পরিণতি যদি অন্যরকম হতো, তাহলে কী দাঁড়াতো চরিত্রগুলোর অবস্থা। এই ভাবনা থেকেই নাটকটি নির্মাণ করা।
নাটকে দেখা যাবে, হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি করা জনপ্রিয় চরিত্র হিমু পথে পথে হাঁটছে। শ্রাবণ মাসের বৃষ্টিতে ভেজার সুযোগ না হলেও ঘামে ভিজছেন তিনি। গরমের তাপে রাস্তার পিচ নরম হয়ে আছে। খালি পায়ে হাঁটা মুশকিল। আঠার মতো কালো পিচ পায়ে লেগে যাচ্ছে। মুখভর্তি দাড়ি। গায়ে হলদে খাদি পাঞ্জাবি। লোকজন কেমন বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে এখন আর মাথা ঘামায় না হিমু। উৎসুক জনতার দিকে তাকিয়ে নিজেও মাঝেমধ্যে চোখ-মুখ বাঁকা করে ভেংচি কাটে। হিমু এখন ভাবছে, বাকের ভাই যদি বেঁচে যেত, তাহলে তার অবস্থা কী হতো ? তারও তো কিছু কথা বলার ছিল নিশ্চয়ই ? আর মুনা, সে কী করছে ? তার কি বিয়ে হয়েছে ? নাকি বাকের ভাইয়ের শোকে এখনো বিয়ে করেনি ? আর আজ `রবিবার` নাটকের সেই দাড়ি-গোঁফওয়ালা ঠান্ডা মেজাজের বড় চাচা এখন কেমন আছেন ? কী করছেন তিনি ? এ রকম নানা প্রশ্ন এসে জড়ো হয়েছে হিমুর মাথায়। সে ঠিক করে বাকের ভাই, বড় চাচা, মিসির আলীকে খুঁজে বের করতে হবে। মুনার কাছেও যাওয়া দরকার। টিএসসিতে রূপার সঙ্গে দেখা করেই অন্যদের খুঁজতে বের হতে হবে। এমনটা মনস্থির করে হাঁটতে শুরু করে হিমু। আবারও মাথায় চলে আসে বড় চাচা, মিসির আলী ও বাকের ভাইয়ের প্রসঙ্গ। হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস থেকে এবার হিমুর সঙ্গে টিভি পর্দায় হাজির হচ্ছেন বাকের ভাই, মুনা, বড় চাচা, মিসির আলী ও রূপা। অর্থাৎ হিমুকে ঘিরেই এ চরিত্রগুলো হাজির হবে এ নাটকে।