কলকাতার ১৬তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তচিন্তার পরিচালক জন জোস্ট। ১৬ মে ১৯৪৩-এ চিকাগো শহরের এক সামরিক পরিবারে তার জন্ম।
উৎসবের ফাঁকে বাংলানিউজ-এর সঙ্গে বলেছেন চলচ্চিত্রসহ নানা বিষয়ে।
কলকাতা কেমন লাগছে?
: ২০০৩ সালে একবার কলকাতায় এসেছিলাম। ইন্টারেস্টিং শহর, তখন বড্ড ধুলোবালি আর ট্রাফিক দেখেছিলাম। এখন তা নেই। একটা নাটক দেখতে গিয়েছিলাম। বাইরে বেরিয়ে দেখি এক হাঁটু পানি। প্যাথেটিক। তবে এখনকার রাস্তাঘাটে বেড়াতে ভালো লাগছে।
কী কী ছবি দেখলেন?
: শুধু উদ্বোধনী ছবিটা, আর কিছু না। দেখার ইন্টারেস্টও নেই।
ভারতের কোন কোন পরিচালকের ছবি দেখছেন?
: ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেনের নাম শুনেছি, তবে এদের কোনও ছবি দেখিনি। আসলে আমি ছবি তৈরি করতেই বেশি ভালবাসি, দেখতে নয়। আসলে সিনেমা দেখার সময় নেই।
সত্যজিৎ রায়ের কোনও ছবি দেখে নি?
: কে সত্যজিৎ রায়?
ভারতের অস্কারজয়ী পরিচালক...
: হ্যাঁ, হ্যাঁ ৪০ বছর আগে ওর ট্রিলজি দেখেছিলাম, সবগুলোর নাম মনে নেই, তবে ভালো ছবি। ভেরি পাওয়ারফুল।
বাংলাদেশের কোনও সিনেমা দেখেছেন?
: মনে পড়ছে না।
আপনার পড়াশোনা...?
: ধুর (হাসতে হাসতে), হোমওয়ার্ক করতাম না বলে আমাকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
কলকাতার কালচার সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে?
: সেরকম কিছু না। ২০০৩ সালে এসে একবার একটা নাটক দেখেছিলাম, রুদ্রপ্রসাদের ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’। খুব খারাপ লেগেছিল, জঘন্য। যে নাটকটা দেখতে নিয়ে গিয়েছিল, তাকে প্রায় মারতে উঠেছিলাম।
বুঝলাম। আচ্ছা, এখানে খেলেন কিছু? কেমন লাগল খাবার?
: ভালো, তবে অয়েলি। ওজন বেড়ে যায় বড্ড। বাই দ্য ওয়ে, এখানে কোথায় ভাত পাওয়া যায় বলো তো? আমার স্ত্রী ভাত খাবে বলে অস্থির হয়ে উঠেছে, আর স্যান্ডউইচ ভালো লাগছে না।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১২৪০, নভেম্বর ১৬, ২০১০