ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শুষ্কতা- রুক্ষতা থেকে মুক্তি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১২
শুষ্কতা- রুক্ষতা থেকে মুক্তি

ষড়ঋতুর পালাবদলে চলে এসেছে  শীতকাল। হিম হিম এই সময়ে গাছ হয়ে পড়ে পত্র-পুষ্পহীন শুকনো।

অন্যদিকে মানুষের নাজুক ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে চায়। চুল থেকে ঝলমলে ভাব উধাও হয়ে গিয়ে চুল বিবর্ণ ও মলিন হয়। মাথায় খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ঠোঁট ফেটে হয় চৌচির।   আপনার প্রিয় ত্বক যদি প্রকৃতির এমন  দোলাচলে ব্যতিব্যস্ত হতে থাকে ক্রমাগত, তা হলে তো মহাবিপদ। হাতের কাছে যা ইচ্ছে ক্রিম লেপে নিলেই কি নিস্তার পাওয়া যায়? উঁহু, মানতে হয় নিয়ম, জানতে হয় পদ্ধতি। আজ শুষ্ক ত্বকের যত্ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সাহায্য করছেন ওমেন্স ওয়ার্ল্ডের রূপ বিশেষজ্ঞ কণা আলম 

শুষ্ক ত্বক : কোন সাজগোজই শুকনো চামড়ার ওপর ভালো বসে না। সুতরাং প্রথমে আমাদের ত্বককে ঠিক করতে হবে।

ত্বকের একটি নিজস্ব পানি ধারণের ক্ষমতা আছে। ত্বকের এপিডারমিসের ওপরের স্তর কর্নিয়াল। তাতে যদি পানি কম হয় তবে তাকে শুষ্ক ত্বক বলা হয়। শুষ্ক ত্বকটির কোনও উজ্জ্বলতা থাকবে না এবং মনে হবে ত্বকটি প্রাণহীন। হাত দিয়ে অনুভব করলে ত্বকের উপরিভাগটি অল্প খসখসে মনে হবে। ত্বক থেকে বেশি পরিমাণ পানি বেরিয়ে গেলে তবেই শুষ্ক ত্বক হয়।

শীত অনেকেরই পছন্দের ঋতু হলেও শীতকালেই অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা হয়ে যায় ত্বক। কারণ ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়ে আবহাওয়ার কারণে। শীতে এমনিতেই আমাদের ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যায়। এসময় সারা বছরের যতেœ, পরিশ্রমে গড়া ত্বক দ্যুতিহীন ও অনুজ্জ্বল হয়ে যেতে পারে। আসলে আমাদের প্রতিদিনের জীবন-যাপন, খাওয়া-দাওয়ার প্রভাব পড়ে ত্বকে। ত্বক ভালো রাখতে সুষম ডায়েট, ব্যায়াম, ঘরোয়া যতœ, ভালো বিউটি স্যালুনে গিয়ে নিয়মিত ফেসিয়াল ছাড়াও হাসিখুশি আর আনন্দের মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি।

অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে ত্বকের যতœ নিতে হয় বিশেষভাবে। শীতকালে ত্বকের যতেœ ধরন অনুযায়ী চাই ভিন্ন ভিন্ন পরিচর্যা।

আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুসারে অধিকাংশ নারীর ত্বক শুষ্ক। এ ধরনের ত্বকে তেল বা জলীয় অংশ অথবা দুটোরই অভাব দেখা যায়। শীতকালে শুষ্ক ত্বকে পানিশূন্যতা বেড়ে যায়। ত্বক দেখায় আরও বেশি নিষ্প্রাণ। আবার সাবান, পানি, সূর্যতাপ, এয়ার কন্ডিশন, রুমহিটার এসব শীতকালের ত্বক থেকে প্রয়োজনীয় তেল ও পানি ছিনিয়ে নেয়। ধরনের ত্বকের জন্য সাবানমুক্ত, সেনসেটিভ স্কিন ক্লিনজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক ধোয়ার পর স্কিন ফ্রেশনার দিয়ে টোনিং করে এরপর হাইপো-এলার্জেনিক, প্রিজারভেটিভমুক্ত, সুগন্ধহীন ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা প্রয়োজন। এ ধরনের ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়ে। ফলে নিয়মিত ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।