নারী জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে বেগম রোকেয়ার কথা কার না জানা? তিনি আমাদের নারী সত্ত্বাকে জাগিয়ে না তুললে আমরা হয়তো চিরকাল গৃহবন্দীই থেকে যেতাম। তাই লেখার শুরাতেই এ মহান নারীকে নারী দিবসে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
নারী আজ জেগে ওঠেছে। নারী আজ ঘরের গণ্ডি ছেড়ে পা বাড়িয়েছে বাইরের জগতে। নারী আজ প্রমাণ করছে নিজের মেধাও কর্মদক্ষতাকে, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে পুরুষের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে সমান কাতারে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে নারীর সচেতনতা এবং সুশিক্ষার মাধ্যমে।
সচেতন নারী নিজের অধিকার আদায়ে আর দায়িত্ব সম্পর্কে। আর এই সচেতনতা এবং আত্মবিশ্বাস নারীকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে বিশ্ব দরবারে। জয়ী নরী কণ্ঠ ছেড়ে গাইছে বিজয়ের গান।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে আজকের এই অবস্থানে আসতে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়, সহ্য করতে হয়েছে অনেক লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এতে করে অনেক নারী শুরুতে বা মাঝ পথে থেমে গেলেও অনেকেই আবার হেসেছে বিজয়ের হাসি। আর এই হাসিটাকেই একজন নারী ধরে রাখতে চায় চিরদিন।
বিশ্বে সফল নারীর সংখ্যা এখন আর হাতে গোনার নয়। কালের বিবর্তনে এ সংখ্যাটা কমছে না বরং বাড়ছে। একজন নারীর জন্য এটা অবশ্যই সুখকর।
তবে আধুনিক সভ্য সমাজে এখনও নারী ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। পথে চলতে এখনও নারীকে নিরাপত্তার বিষয়টি একশ ভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি সমাজ তথা সরকার। অশুভ ও নোংরামির কালো থাবা নারীর দিকে ধেয়ে আসে এখনও। আর তাই অকালেই ঝরে পড়ে অনেক নারীর জীবন।
এসব অশুভ কালো ছায়া থেকে বাঁচতে চায় নারী। নারীও পথ চলতে চায় নিরাপদে। ঝরে পড়া নয়, এগিয়ে যেতে চায় নারী। করুণা নয়, নিজের অধিকার চায় নারী।
অনেক হয়েছে, আজ শুধু নারী নয় মানুষের পূর্ণ মর্যাদা দাবি করার সময় এসেছে।
আর একটি নারীও যেন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার না হয়। আর কোনো নারী যেন বেছে না নেয় আত্মহত্যার পথ- বিশ্ব নারী দিবসে এটাই হোক প্রতিটি নারীর অঙ্গীকার।