অফিসে কাজ করতে করতে হঠাৎ সবকিছু কেঁপে উঠলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে বাকী রইলো না, ভূমিকম্প হয়েছে।
কয়েকটি বিদেশি নিউজ সাইট দেখতেই যেন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। আসলে কী হতে চলেছে? ইন্দোনেশিয়ায় ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্প! সেই সঙ্গে ২৮ টি দেশে সুনামি সর্তকতা জারি। দেশের তালিকায় বাদ যায়নি বাংলাদেশও!
আশঙ্কার কথা হচ্ছে, যে কোনো সময় বড় ধরণের ভূমিকম্প হতে পারে। ভূমিকম্প হলে আমাদের যা করতে হবে:
- সবাইকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে
- কম্পন না থামা পর্যন্ত খাট, ডাইনিং টেবিল ও রুমের কোণে আশ্রয় নিতে হবে
- চুলা, বিদ্যুৎ জ্বালানো থাকলে বন্ধ করতে হবে
- জানালার পাশে দাড়ানো যাবে না
- উঁচু ভবনে থাকলে লিফট ব্যবহার করা যাবে না
- যদি যানবাহনে থাকা অবস্থায় ভূমিকম্প শুরু হয়, রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে অবস্থান করতে হবে।
- ভূমিকম্পের সময় টর্চলাইট হাতে রাখা প্রয়োজন
- ভাঙ্গা দেয়ালে চাপা পড়লে, কোন রকম নড়াচড়া করা যাবে না এবং শ্বাস নালিতে যাতে ধুলাবালি ঢুকতে না পারে সেজন্য যথা সম্ভব নাক-মুখ হাত দিয়ে ডেকে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে উদ্ধার কর্মীদের খবর দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, বাংলাদেশে রিখটার স্কেল ৬.৯ মাত্রায় ভূমিকম্প হলে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকায়ই বাহাত্তর হাজার ভবন ধসে পড়বে সেই সাথে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণ করার আগে আমাদের যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:
- বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে
- ভবনের উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী শক্ত ভীত দিতে হবে
- অবকাঠামোগুলোতে রেইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করতে হবে
- গ্যাস ও বৈদ্যুতিক লাইন নিরাপদ ভাবে তৈরি করতে হবে
- জলাশয় ভরাট করেই বাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না
- প্রতিটি তলা একই রকম রাখতে হবে।
আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করি।