কম সময়ে দ্রুত কাজ করে জীবনকে সহজ করার জন্য আবিষ্কার করছে বিভিন্ন পদ্ধতি। এমনকি খাবার তৈরিতেও আমরা এখন অনেক কম সময় ব্যয় করি।
তাই রান্নার অন্যতম প্রধান উপকরণ মসলা বাটার পরিবর্তে আমরা প্যাকেটজাত মসলার ওপর নির্ভর করছি। আর মসলার স্থায়ীকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভ।
এমন সত্যতা মিলছে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনলজির এক গবেষণায়। সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক উৎপল রায় চৌধুরী জানান, রকমারি মশলার প্যাকেটে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভ বা নিষিদ্ধ রং ব্যবহারের নমুনা মিলেছে। অথচ কে কতটা প্রিজারভেটিভ বা রং ব্যবহার করছে তা কেউ বলে না।
পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরী উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে খাদ্যগুণের পরিবর্তন হচ্ছে। প্রিজারভেটিভ বা রং মেশানো খাবার খেয়েই আমাদের দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। থাকছে ক্যানসারের আশঙ্কাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের আয়ু বাড়াতেই পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয় প্রিজারভেটিভের মাত্রা। প্রিজারভেটিভের বিপদ নিয়ে মানুষ যথেষ্ট সচেতন না হওয়ায় কোম্পানিগুলো নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছে ক্ষতিকারক প্রিজারভেটিভ।
তবে, মসলায় প্রিজারভেটিভ মেলানো আছে, এটা বোঝার উপায়?
গবেষক জানান, অনেক সময় প্যাটজাত মসলায় এক ধরণের ‘উৎকট’ গন্ধ পাওয়া যায়। আর এই গন্ধের উৎসটাই প্রিজারভেটিভ। এক বছর বা ছয়মাস ধরে প্যাকেটের মসল্লা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রিজারভেটিভের মাত্রাও অনেকে বাড়িয়ে দেন। তাতে শরীরের ক্ষতিও বেশি হয়।