অনেক অপেক্ষা আর কষ্ট সহ্যের পর মা যখন প্রথম সন্তানের মুখ দেখে, তার সব কষ্ট তখন দূর হয়ে যায়। পরিবারের সবাই আত্মীয় বন্ধু আনন্দে বরণ করে শিশুটিকে।
মা এবং শিশুর জীবন ঝুঁকিমুক্ত রাখতে মাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। শিশুর জন্মের পরবর্তী ২৮ দিন পর্যন্ত তাকে নবজাতক বলা হয়।
নতুন এই অতিথিকে আদর করার জন্য একবার দেখার জন্য আমরা উদগ্রীব হয়ে থাকি। তবে অনেক সময় সচেতনতার অভাবে নবজাতক শিশুর সঠিক যত্ন নিতে আমরা ব্যর্থ হই। নবজাতকের জন্মের পর মা অসুস্থ থাকে তাই এসময়টায় পরিবারের নির্ভর যোগ্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। যিনি এই বিশেষ দায়িত্ব পালন করবেন, জেনে নিন কি করতে হবে।
নবজাতকের যত্নে:
- নবজাতকের নাক-মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে
- শিশুকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের শাল দুধ দিতে হবে এবং বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করতে হবে
- নাভী শুষ্ক ও খোলা রাখুন
- দিনের বেশির ভাগ সময় শিশু ঘুমিয়ে কাটায় এ সময় নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা লক্ষ্য রাখতে হবে
- শিশুকে নতুন কাপড় পরানো যাবে না, সুতি নরম কাপর দিয়ে পোশাক তৈরি করে ধুয়ে নিতে হবে
- শিশুর ব্যবহারের সব কিছু প্রতিদিন সাবান ও স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন
- শিশুকে ধরার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন
- ঘুমের সময় শিশুকে কোলে না রেখে বিছানায় শুইয়ে দিন
- শিশুকে প্রতিদিন সকালের রোদে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা রাখুন
- শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট। পানি বা অন্য কোনো খাবার দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই
- শিশুর শরীরে তেল দেওয়া যাবে না
- শরীরের বিভিন্ন ভাজে গরমে ঘামাচি হওয়া এড়াতে পাউডার দিয়ে দিন
- শিশুকে পরিষ্কার করার জন্য ওয়েট টিসু ব্যবহার করুন
- শিশুর বিছানা পরিষ্কার রাখুন
- বাইরে থেকে ফিরে শিশুকে ধরবেন না
- শিশুকে সময় মতো টিকা দিন
- ডাক্তারের পরামর্শ মতো শিশুর পরিচর্যা করুন
- সব ধরণের কুসংস্কার থেকে দূরে থাকুন
একটি শিশুকে লালন পালনে মায়ের মতো বাবারও দায়িত্ব আছে।
সবার ভালোবাসা, সুস্থতা, সুস্থ মানসিকতা ধর্মীয় অনুভূতি এবং দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বেড়ে উঠুক আমাদের সোনামণি।