ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ফল খান

শারমীনা ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১২
ফল খান

চলছে মধু মাস। গাছে গাছে ঝুলছে টক-মিষ্টি আম, মন ভোলানো লাল লাল লিচু।

আর আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালও পাকতে শুরু করেছে। আমাদের দেশি ফলগুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর।

স্বাস্থ্য রক্ষায় ফলের কোন বিকল্প  নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য ফল খাওয়া খুব জরুরি। শরীরের ভিটামিনের  প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে ফল। চাইলে, সপ্তাহে ১ দিন  ফল খেয়েই থাকতে পারেন। একে বলে ফ্রুট ফাস্টিং।

বেশি করে সিজনাল ফল খান। বেশি উপকার পাবেন। কারণ ফলে রয়েছে ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। ফল খেলে আমাদের ত্বকও ভালো থাকে।
ফলের মধ্যে প্রচুর পানি রয়েছে। প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইমে সমৃদ্ধ ফল আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক্সারসাইজ করার জন্যে বেশি এনার্জি পাওয়া যায়।

হাই ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করে ফল। স্থুলতা ঠেকাতে টক জাতীয় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলে উপকার পাওয়া যায়। নিয়মিত ফল খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন।

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশুদের জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি ফল খাওয়া অপরিহার্য।

 সকালে নাস্তার পর একটি ফল খান। বিকেলে তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে খেতে পারেন এক বাটি ফল। টিভি দেখার সময়ও ফল খেতে পারেন। আসলে ফল খাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই । যে কোনো সময় ফল খেতে পারেন। বাচ্চার টিফিনে বা আপনার অফিসের লাঞ্চে কয়েক পদের ফল রাখতে পারেন।

বাজারে এখন প্রচুর ফল পাওয়া যাচ্ছে, ফল কেনার সময় লক্ষ্ রাখুন, কেমিক্যাল ও কীটনাশক দিয়ে কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাকানো ফল কিনবেন না।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।