বাপ্পি- সুমন- জিয়া শিশুকাল থেকে তিন জন খুব কাছের বন্ধু। ছোটবেলা থেকে মাগুরা শহরে বড় হয়ে ওঠা।
সদ্য লেখাপাড়া শেষ করে বন্ধুরা মিলে ঢাকায় এক্সিমকপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। কাজ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সরবরাহ।
প্রতিষ্ঠানটি কিছুটা থিতু হতেই আবার সেই স্বপ্নের পিছুটান। মাগুরায় একটি নতুন প্রতিষ্ঠান ¯’াপন। অতীতের লাল টকটকে সেনালী সূর্যের কথা ভেবে এ শহরে একটা কিছু করার স্বপ্ন। অনেক ভেবে চিন্তে নাম ঠিক করা হলো ‘রেড লাইফস্টাইল’। বন্ধু সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো মাগুরায় প্রতিষ্ঠানটি চালানোর। বাপ্পি ও জিয়া ঢাকা থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করবে। এ প্রতিষ্ঠানটি ছোট্ট মাগুরা শহরের দৈন্যতাকে ঘুচিয়ে দিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। উদ্দেশ্য সঠিক মূল্যে এক ছাদের নিচে দেশি বিদেশি বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের পণ্যের সমাহার ঘটানো।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং পার্টনার অমিতাভ শিকদার বাপ্পি বাংলানিউজকে জানান- কয়েক বছর আগে বন্ধুরা মিলে পার্শ্ববর্তী একটি জেলার নাম করা এক মার্কেট থেকে ব্যক্তিগত কিছু কেনাকাটা করি। এর অল্পকিছুদিন পরই আমি ঢাকা যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ওই একই ব্রান্ডের পণ্য অনেক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমার মনে প্রশ্ন এলো ব্যবসার নামে মানুষকে এভাবে ঠকানো কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
তখনই মাথায় চিন্তা আসে, আমার জেলায় সঠিক মূল্যে ভাল ব্রান্ডের পণ্য বিক্রি হবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার। এ স্বপ্ন থেকেই এক সময় রেড লাইফস্টাইলের চিন্তা ভাবনা শুরু। মূলত মাগুরার প্রতি দায়বদ্ধতা এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরির অন্যতম অনুপ্রেরণা। সাধ্যের মধ্যেই মাগুরার মানুষের লাইফস্টাইলে পজেটিভ চেঞ্জ আনাই আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার সুমন সেন বলেন, নানা ব্রান্ডের পণ্যের সমারহ, উন্নত কোয়ালিটি, স্বল্প লাভ এবং দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য বিক্রয় পরবর্তী সেবা এ প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম লক্ষ। এ লক্ষ্যে আমরা অনলাইন রেজিস্টারের মাধ্যমে ক্রেতাদের অভিযোগ সমাধান এর ব্যবস্থাও করেছি। অনলাইনে পণ্য সেবা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতেও কাজ শুরু করছি আমরা।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আমাদের এখানে থাকবে বিভিন্ন ডিজাইনের এক্সক্লুসিভ শাড়ি ও পাঞ্জাবি।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হিসেবে তিনি জানান- এটিই সম্ভবত জেলা প্রথম প্রতিষ্ঠান যেখানে কলেজ ছাত্রছাত্রীদের পার্ট টাইম কাজ করে আয় করার সুযোগ থাকছে। এখানে প্রাথমিক অবস্থায় ৬টি ছেলে ও ৮ টি মেয়ে মিলিয়ে মোট ১৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকার শেখ রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান- আমাদের এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাধারণত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বলতে কিছুই থাকে না। যে যার মত ক্রেতার কাছ থেকে দাম নিচ্ছে। আশা করি এ প্রতিষ্ঠানটি সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী হবে।
তরুণরাই আমাদের দেশকে পাল্টে দেবে। আপনাদের উদ্যোগের কথাও জানান আমাদের। আপনিই হয়ে উঠতে পারেন হাজার তরুণের স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা। লিখতে পারেন, এই মেইলে: [email protected]