বিশ্ব ফ্যাশনে সেই ৭০-এর দশকের শেষ দিক থেকে দাপটের সঙ্গে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন বাংলাদেশি ডিজাইনার বিবি রাসেল। সম্প্রতি ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্লগ “ফ্যাশন কম্প্যাশন” ফ্যাশনে ব্যাপক পরিবর্তনে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১০ নারী ফ্যাশন ডিজাইনারের নামের তালিকা ঘোষণা করে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি এই ফ্যাশন মডেল এবং ডিজাইনার বিবি রাসেল, বিশ্ব ফ্যাশন জগতে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র পোশাক তৈরি করেই তিনি নিজের দায়িত্ব শেষ করেননি, দেশীয় হস্তশিল্পকে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব ফ্যাশন দরবারে তুলে ধরেছেন। কয়েক হাজার গ্রামীণ দরিদ্র নারীর কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি।
এই এপ্রিলে এ কলোম্বো ফ্যাশন সপ্তাহে নিজস্ব বেশ কিছু ডিজাইন নিয়ে শো তে অংশ নেন বিবি।
বিবি রাসেল বলেন,“আমি বেশির ভাগ সময়ই ব্যয় করি ডিজাইন নিয়ে গবেষণার কাজে। ছয় বছর আগে একটি প্রকল্প শুরু করি। যেখানে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গের অসংখ্য দরিদ্র নারী কাজ করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। আমি চাই আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে। ”
বিশ্ব সংস্কৃতিতে আমাদের দেশের জামদানি, মশলিন, খাদি এবং সুতি কাপড়ের পোশাক সম্মানের জায়গা দখল করে নেবে বলে বিশ্বাস করেন বিবি। আর এজন্য তিনি রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
বিশ্বসেরা এই ডিজাইনার ২০০৪ সালে জাতিসংঘের শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। বিবি রাসেলের ডিজাইন করা পোশাক পরেছেন নানা দেশের রানী, রাজ পরিবারের সদস্য, বিশ্ব সেরা মডেল, অভিনেত্রীসহ অনেকেই। তবে নিজের জন্য সব সময় তিনি বেছে নেন সুতি এবং তাঁতের কুর্তা বা শাড়ি।
তিনি বাংলাদেশে নিজের ফ্যাশনহাউস বিবি প্রোডাকসন্স শুরু করেন ১৯৯৫ সালে।