জীবন যাত্রার সঙ্গে নিবিড় সঙ্গতি না থাকলে যেকোনো শব্দই অর্থহীন হয়ে পড়ে। বদলে যায় চেনা শব্দের অর্থ, জন্ম নেয় নতুন শব্দ।
‘আপনি কী করেন’ এই প্রশ্নের উত্তরে অনেক নারীকেই বলতে শোনা যায়, আমি কিছু করি না, হাউসওয়াইফ। তার মানে অর্থকরী রোজগারই কিছু করার মানদণ্ড। কিন্তু সংসার সামলানো, বাড়ির সকলের দেখভাল করাটা যেন কোনো কাজই নয়!
বাইরের কাজ, অর্থ উপার্জন প্রাচীন কাল থেকেই ছেলেদের একচেটিয়া। মেয়েরা ঘর সামলাবে, সংসার দেখবে, সন্তান লালন-পালন করবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এটাই রেওয়াজ। কিন্তু আজকের সমাজে ডুয়াল ইনকাম ফ্যামিলি বেড়ে যাওয়ায় যেসব নারী নিজে কোনো উপার্জন করেন না তারা নিজেকে খুবই অযোগ্য মনে করেন। একটা বয়সে ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবও এই হতাশায় ইন্ধন যোগায়।
নাইবা আপনি চাকরি করলেন, সংসারের দুটো পয়সা আনলেন। জীবনের এই বিরাট পটভূমি কি শুধুই অর্থ উপার্জনের? একবারও ভেবে দেখেছেন কি, আপনার পরিবারের প্রত্যেকের জীবনে কী অসমান্য ভূমিকা আপনি পালন করে চলেছেন? তাছাড়া অর্থনৈতিক প্রশ্ন যদি ওঠেই, তখন ভেবে দেখতে হবে আপনার শ্রম, মনোযোগ, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা দিয়ে আপনি সংসারের কতটা সাশ্রয় করছেন। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, সেভ আ পেনি আর্ন আ পেনি। আপনার কারণে যে ব্যয় সংক্ষেপ হচ্ছে সেটাই তো আপনার আয়।
হোমমেকিং ইট সেলফ ইজ আ প্রফেশন। নিজেকে সংসারের প্রাণকেন্দ্র ভাবুন। ঝেড়ে ফেলুন হীনমন্যতা। হাউসওয়াইফ নয় নিজেকে হোমমেকার ভাবতে শুরু করুন।