পুরুষ বা নারী যাই হোক না কেন, সবার আলমারিই পোশাকে ঠাসা থাকে। কিন্তু নারীদের বেলায় এ হিসাব কিছুটা ভিন্ন।
এ ঘটনাটিও হয়তো স্বাভাবিক। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের নারীদের ক্ষেত্রে এটা প্রায়ই দেখা যায় যে, তাদের সংগ্রহে যে পোশাক আছে তার সব কখনই তারা পরে দেখেন না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, না পরলেও তারা কখনো আলমারি থেকে তা ফেলেও দেন না। ডেইলি মেইল এমনটাই জানাচ্ছে।
শুধু ব্রিটেনেই নারীরা ৫ হাজারের বেশি পোশাকের জন্য ১৬০ কোটি পাউন্ড খরচ করে। কিন্তু এর কোনোটিই তারা কখনো পরে দেখেন না।
কিন্তু অনেক দর কষাকষি করে, তারকারদের পছন্দের ফ্যাশন অনুযায়ী কেনা এসব পোশাক একসময় বাতিলের খাতায় চলে যায়।
তবে শখের এসব জিনিসের এ করুণ পরিণতি হওয়ার কারণ কি? জানতে চাওয়া হয় নারীদের কাছে। উত্তর আসে, ‘তাড়াহুড়ো করে কেনাই সমস্যার মূল কারণ। ’ ৪৫ শতাংশ নারীরই এ মতামত।
নারীদের মাত্র এক-অষ্টমাংশ নিয়মিত তাদের আলমারি পরিষ্কার করেন। আর ৫০ জনের মধ্যে মাত্র একজন ১০ বছরের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র একদিন আলমারিটি পরিষ্কারের সময় বের করতে পেরেছেন, বাকিরা তাতেও ব্যর্থ।
না পরা পোশাকগুলোর মধ্যে তালিকায় এগিয়ে আছে জিনস। এমন এক জোড়া জিনস অন্তত ৮৮ শতাংশ নারীরই আছে যা তারা কখনো পরেননি।
তবে এভাবে অর্থের অপচয়ের জন্য প্রায় অর্ধেকের বেশি নারী অপরাধবোধে ভোগেন বলে অকপটে স্বীকার করে নেন তারা।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এদের মধ্যে ১৭ শতাংশ নারীই পুরোনো ফ্যাশন আবার ফিরে আসবে এ আশায় পোশাকগুলো জমিয়ে রাখেন বলে জানান।
পুরুষদের মধ্যে যে এ অভ্যাস একদমই নেই তা বলা যায় না। কেননা তাদের ক্ষেত্রে অন্তত ১৯ ধরনের পোশাক আলমারিতে রেখে দেওয়ার কথা জানা যায়, যা সম্পর্কে স্বয়ং এর মালিকই অবগত নন।
এর মধ্যে অধিকাংশ বিক্রির যোগ্য বলে এক-তৃতীয়াংশের বেশি পুরুষ স্বীকার করেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করা শপিং চ্যানেল কিউভিসির মুখপাত্র সু লিসন বলেন, ‘সাধারণত স্মৃতিকাতরতা থেকেই তারা পুরনো পোশাকগুলো জমিয়ে রাখেন। কিন্তু এটা বাস্তবসম্মত নয়। ’
‘আপনার কাছে এরই মধ্যে যা আছে তার একটি তালিকা করুন, এটা আপনাকে একজন স্মার্ট ক্রেতা হতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে আপনার আলমারির দিকে নজর দিন এবং এমন জিনিস কিনুন যা আপনার প্রয়োজন ও চাহিদার মধ্যে সমন্বয় করতে সাহায্য করবে। ’
সূত্র : আইএএনএস
বাংলাদেশ সময় ০০৩৫, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১