বছর ঘুরে প্রতিবারই আসে সংযম-এর মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাস প্রতিটি রোজাদারের জন্য বিশেষ ফজিলতের মাস।
রমজান মানে সংযম, সবার প্রতি সহানুভূতি। রমজান মানে শুদ্ধতা, পরি”ছন্নতা ও সহমর্মিতায় পরিপূর্ণতা। আমাদের ইফতারের টেবিল সাজানো থাকে অসংখ্য খাবার, শরবত, জুসসহ বিভিন্ন ধরণের পানীয় দিয়ে। খাবারের পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়ায় প্রতিবার নষ্ট হয় প্রচুর খাবার। বাড়িতে বানানোর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ইফতার আমরা বাইরে থেকে কিনি। যেগুলোর বেশিরভাগই তৈরি করা হয় আনহাইজেনিক পরিবেশে। ইফতারের পাশাপাশি বাইরে খোলা স্থানে তৈরি শরবত বা জুসও আমরা কিনি, যেগুলো থেকেও ছড়াতে পারে রোগ জীবাণু। কেনাকাটার ক্ষেত্রেও আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রচুর কেনাকাটা আমরা করি নিজেদের জন্য।
রমজানে যা কিছু করা উচিত, তার উল্টোটা তো আমরা করছি। কিন্তু‘ একটি বারও কি ভেবে দেখেছি, অসংখ্য ক্ষুধার্ত মানুষের কথা, যারা প্রয়োজনীয় খাবারটুকুও পায় না! আমরা কি কখনো ভেবেছি, নিরাপদ পানি বঞ্চিত অসংখ্য মানুষের কথা! আমরা কি কখনো ভেবেছি, শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরি”ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন না থাকায় ছড়িয়ে পড়ে রোগ-জীবাণু, বাড়ে অসু’ হওয়ার ঝুঁকি! কেনাকাটার সময় কি আমরা কখনো ভাবি, অসংখ্য বস্ত্রহীনের কথা!
আসুন, সংযমের এ মাসে আমরা খাবার ও পানীয় অপচয় না করি। থাকি পরিষ্কার-পরি”ছন্ন ও রোগ-জীবাণুমুক্ত। শুদ্ধতা রক্ষায় হই আরো সচেতন। সহমর্মিতার এ মাসে অতিরিক্ত কেনা-কাটার সময় আমরা যেন ভুলে না যাই সুবিধাবঞ্চিতদের কথা।
রমজান হোক সংযম, শুদ্ধতা, পরি”ছন্নতা ও সহমর্মিতায় পূর্ণ।
রমজানের এই চেতনাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২৫ রমজানে (২৪ জুলাই) যোগ দিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইউনিলিভার আয়োজিত বিশেষ এই ইফতার টেবিলে।
বিস্তারিত জানতে লগ-ইন করুন: www.bdspiritoframadan.com