আমরা সুস্থ থাকার জন্য কত কিছুই না করি। কেউ বেছে বেছে খাচ্ছি, কেউ বেছে বেছে চলছি, কেউ আবার ব্যায়াম করছি।
সেই প্রাচীন কাল থেকেই সুস্বাস্থ্যের জন্য যোগ(Yoga) ব্যায়ামের জুড়ি নেই। যোগাসন, হটাসন, শবাসন ইত্যাদির মতো ময়ূরাসনও যোগ অভ্যাসের পর্যায়ে পড়ে। ময়ূরাসন করলে দেহের সব বর্জ্যপদার্থ বের হয়ে দেহকে সুস্থ রাখে।
কেউ ময়ূরাসন করছেন দেখলে যে কারো মনে হতে পারে, তিনি বুঝি পাখির মতো উড়তে চেষ্টা করছেন। তবে পাখির মতো উড়ে সতেজ বাতাস খেতে না পারলেও এটি আমাদের দেহের সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেবে। এটি করলে দেহের অভ্যন্তরীণ সব কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো চলে।
তবে ময়ূরাসন করতে কোনো তাড়াহুড়ো করবেন না। যতটুকু সহ্য হয় ততটুকু করুন।
আজ জেনে নিন কীভাবে ময়ূরাসন করবেন :
• প্রথমে মেঝেতে হাঁটু ভেঙে বসুন
• হাঁটু ফাঁকা রেখে দু পা একসাথে করুন। সামনে ঝুঁকুন, হাতের তালু মেঝেতে হাঁটুর মাঝে রাখুন। কনুই ও কলাচী একসাথে করুন।
• সামনে ঝুঁকুন, কনুইয়ের ওপর তলপেট ও বাহুর ওপর বুক স্থির করুন।
• দু পায়ের ওপর ভর দিয়ে পা-দুটো একসাথে করুন। পেশিগুলোকে শক্ত করুন এবং আস্তে আস্তে মধ্যশরীর ও পা তুলে ধরুন। সাথে মাথাও তুলে ধরুন।
• বুকের ওর চাপ না দিয়ে তলপেটের ওপর দেহের ভারসাম্য রাখুন।
• ২০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন । তারপর হাতের উপর জোর রেখে আস্তে আস্তে পা নামিয়ে স্বাভাবিক অবস্থানে আসুন । আসনটি প্রতিদিন তিনবার করুন।
উপকারিতা :
• এটি দেহের বিপাকীয় অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। দেহের রক্তের মধ্যকার সব বর্জ্যপদার্থ বের করে দেয়
• লিভার ও কিডনি ভালো রাখে
• পেটের কোনো রোগ সহজে হয় না, চর্মরোগ হয় না
• স্ত্রী ও পুরুষের যৌনগ্রন্থির বিকাশের স্বাভাবিকতা বজায় রাখে
• হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
• রক্তে গ্লুজোজের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় রাখতে সহায়তা করে ।