আমরা অনেক সময় পাঠক বন্ধুদের কাছে তাদের সমস্যা জানতে চাই, অনেকে হয়তো মনের কথাগুলো কাউকে বলতে পারছেন না, অথচ বয়ে চলা কষ্ট সহ্য করাও অসম্ভব হয়ে ওঠে, এমন অবস্থায় প্রয়োজন হয় একটি বিশ্বস্ত নির্ভরতার আশ্রয়।
তেমনই এক বন্ধু প্রিয়া(ছদ্মনাম) আমাদের জানায়,‘আমি দশম শ্রেণির ছাত্রী।
এধরনের ঘটনা আমাদের চারপাশে আরও অনেক রয়েছে, কিন্তু ছোট এই মেয়েটি সারা জীবনে কি পারবে মন থেকে কোনো পুরুষকে শ্রদ্ধা করতে? প্রিয়ার সঙ্গে যা ঘটেছে এজন্য সে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামনের পুরো ভবিষ্যৎ তাকে দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হবে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমাদের সমাজে কিছু হিংস্র হায়না রয়েছে যাদের থাবা থেকে সন্তান সমতুল্য শিশুও নিরাপদ নয়। আর তাই বিভিন্ন কারণে শিশু কিশোরদের মধ্যে কোনো জায়গা বা ব্যক্তির প্রতি ভয় তৈরি হতে পারে। এ বিষয়গুলো অহেতুক ভয় ভেবে এড়িয়ে না গিয়ে ধৈর্য ধরে তার মনের কথা শুনতে হবে। এসব ভয় শিশু-কিশোরদের সুষ্ঠু মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের পরিপন্থী।
এই পরিস্থিতি থেকে শিশুকে রক্ষা করতে প্রথম থেকেই সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যেন সে কোনো কিছু পরিবারের কাছে না লুকায়। শিশু-কিশোরদের মধ্যে অতিরিক্ত ভয় দেখা দিলে মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে হবে।
এরই মধ্যে এক বন্ধু জানালেন, মাত্র ৬ বছর বয়সের একটি ছোট্ট শিশুকে মাদারীপুরে ধর্ষণ করা হয়েছে। দুঃখজনক এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে ১৪ বছরের আরেক শিশু। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার পরিবার বিষয়টি সামনে আনতে চাইছেন না।
কিন্তু একের পর এক ঘটনায় যখন অপরাধীরা পার পেয়ে যায়, তখন অবস্থা হয় আরও ভয়াবহ।
প্রতিণিয়ত এই অবস্থা সামাজিক এবং মানসিকভাবে আমাদের নীতি এবং আত্মমর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনা আমাদের নতুন করে রক্তাক্ত করছে। আর চুপ থাকার সময় নেই। এবার শুধুই প্রতিবাদ, তাইতো মিডিয়া থেকে চায়ের দোকান, ফেসবুক-ব্লগ থেকে সাধারণ মানুষ সবাই আজ সোচ্চার সেই দায়িত্বজ্ঞানহীন, মানবিক গুণ বিবর্জিত নরপশুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
তবে সবার আগে চাই সচেতনতা, পরিবারের প্রতিটি ছেলে সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে, মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। আর মেয়ে শিশুদের মধ্যেও নিজের প্রতি আস্থা, আত্মমর্যাদাবোধ তৈরি করতে হবে।
প্রিয়াদের জন্য বলছি, আর ভয় পাওয়া নয়, এবার রুখে দাড়াও, প্রতিবাদ জানাও সেই সব নরপশুদের বিরুদ্ধে।
https://www.facebook.com/bnlifestyle