যানজটের নগরীতে সময় বাঁচাতে স্কুটি বা ই-বাইকের যেন বিকল্প নেই। হাফিয়ে ওঠা নাগরিক জীবন যখন যানজটে বিরক্ত তখন স্কুটিতে সাওয়ার হয়ে ছুটে চলেছেন অনেকেই।
এই সময়ে সব বয়সী মানুষের কাছে অন্যতম পছন্দের ও বিকল্প বাহন হিসেবে স্থান করে নিয়েছে পরিবেশবান্ধব ই-বাইক। শুধুমাত্র বিকল্প বাহনই নয়, বরং আজকাল অনেকটা ফ্যাশনের অংশ হিসেবেও এর জুড়ি নেই। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলার পথে চোখে পড়বে নানা রকমের ই-বাইক।
জ্বালানি খরচ বাঁচিয়ে পরিবেশের জন্য উপযোগী বাহন হিসেবে বাইকগুলো এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
২০০৯ সাল থেকে দেশে ই- বাইকের প্রচলন শুরু হয়। কোন প্রকার বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন ছাড়াই শব্দহীন চলাচলকারী ই-বাইক খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
বাইক বাজরজাত করণ প্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে আকর্ষণীয় সার্ভিস ও গ্যারান্টি।
ব্যাটারির রক্ষনাবেক্ষণ:
ব্যাটারিচালিত এই বাইক চালানোর ক্ষেত্রে এর ব্যাটারির দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর । চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার অন্তপক্ষে ১ ঘন্টা পরে পুনরায় চার্জ দেয়া উচিত।
প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার ব্যবহারের পর পুনরায় চার্জ দিতে হয়। একটানা ১(এক) সপ্তাহ ব্যবহার বা চার্জ না করলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই ব্যাটারি চার্জ এবং ডিসচার্জ করা জরুরি।
‘সাধ্যের মধ্যে ফ্যাশনেবল, সাশ্রয়ী, কার্বনমুক্ত ই-বাইক নতুন প্রজন্মের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে’ বলে বাংলানিউজকে জানান, গ্রিন টাইগারের চিফ এক্সিকিউটিভ মিজানুর রহমান। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলেও তিনি বলেন।
দরদাম:
সাধ্যের মধ্যে পছন্দের ই-বাইকটির দাম পড়বে ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
পরামর্শ:
বাইক চালানোর ক্ষেত্রে সবসময় হেলমেট ব্যবহার করা উচিত ।
বাইক পরিষ্কারের সময় যাতে পানি প্রবেশ না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয় । ডোবা পানিতে বাইক না চালানোই ভালো।
বাইক চালানোর সময় রাস্তায় অযথা প্রতিযোগিতা অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে, তাই সাবধান।
বাইকের সাথে সবসময় চার্জার, মাল্টিপ্লাগ সঙ্গে রাখুন।