আমরা সবাই এই ঐশ্বরিক অনুভূতির সাথে কমবেশি পরিচিত। ভালবাসা প্রকাশের অতুলনীয় ক্ষমতা এই অনুভূতিকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকগুণ।
আসলে আমাদের সংস্কৃতিতে ভালবাসার প্রকাশটা খুবই কম। ভালবাসার আদান প্রদান হচ্ছে চর্চার বিষয়। শুধু অভ্যাস না থাকার ফলে মনের কথাটুকু মুখে এনে বলতে পারেনা অনেকে। অনেক সময় অনুভূতির এই প্রকাশকে আমরা বিশেষ একটা গণ্ডির মধ্যে ফেলে এটাকে একমুখি করে ফেলি।
মনে মনে হাজার ঠিক করে রেখেও বাবা দিবসে বাবার সামনে গিয়ে আমাদের অনেকেরই বলা হয়ে ওঠে না, বাবা আমি তোমাকে খুব ভালবাসি কিংবা মায়ের গালে চুমু দিয়ে বলতে পারি না-মা তুমি আছো বলেই, আমার পৃথিবী এত রঙ্গিন !
আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকে আত্মীয় পরিজন, বন্ধুবান্ধবসহ কত না প্রিয় মানুষ! আবার কর্মস্থলে দিনের অধিকাংশ সময় সাথে থাকে সহকর্মীরা। আমরা ইচ্ছে করলেই কিন্তু তাদের কোনো প্রিয় মুহূর্তের আবেশকে খানিকটা বাড়িয়ে দিতে পারি। না এর জন্যে আমাদের অনেক টাকা খরচ করতে হবে না।
কর্মক্ষেত্রকে আমরা একটি পরিবার মনে করি। এই পরিবারের সবার সুখে-দুখে পাশে থাকাটা আমাদের দায়িত্ব।
ভাইবোন বাবা-মা অথবা স্বামী-স্ত্রী প্রিয় মুহূর্তগুলো আরও রঙিন করে তুলতে পারলেই আমাদের জীবন হয় অনেক বেশি অর্থবহ স্বার্থক আর আনন্দে ভরপুর।
প্রিয়জন দূরে থাকলেও বিশেষ দিনগুলোতে তাকে কী ভুলে থাকা যায়, তাকে শুধু মনে না রেখে মেসেজ দিয়ে অথবা ফোন করে শুভকামনা জানান।
শুভেচ্ছার ভাষা অর্থ দিয়ে মাপা ঠিক নয়। একটা গোলাপ ফুলও কিন্তু হয়ে উঠতে পারে অপূর্ব সুন্দর সম্পর্কের এক নিদর্শন অথবা একটি চকলেট দিয়েও অভিনন্দন জানানো যায়।