ঈদের কোরবানির জন্য পশু কিনে ছবি তুলে সেলফি দিতে এখন আমরা অনেকেই ব্যস্ত। কোরবানি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে।
কারণ আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখার দায়িত্বও আমাদের। পশু কোরবানি যেমন সামর্থবানদের জন্য বাধ্যতামূলক, কোরবানির পর সেই নোংরা পরিষ্কার করাও আমাদের জন্য বাধ্যতামূলকই ভাবতে হবে।
আমরা সচেতন হবো যেন আমাদের কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্ট রক্ত বা আনুসাঙ্গিক বস্তুতে আমাদের চার পাশের পরিবেশ দূষিত না হয়।
পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে আমাদের যা করতে হবে:
• পশু কোরবানির স্থান পরিস্কার করা
• কোরবানি দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে
• কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোন মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখুন
• মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট গুলো যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় রাখুন কাজ শেষে সেগুলো গর্তে পুতে ফেলুন।
• পশুর ভুড়ি পরিস্কারের পর সেই আবর্জনা খোলা অবস্থায় না রেখে সেই গর্তে পুতে ফেলুন।
• কোরবানির সব কার্যক্রমের শেষে রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলুন।
• জীবাণু যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য নোংরা জায়গা পরিষ্কারের সময় স্যাভলন মেলানো পানি ব্যবহার করুন।
• সারাদিন পর যখন বিকালে কিংবা সন্ধ্যের পর বেড়াতে বের হবেন দেখবেন দুর্গন্ধহীন কত ফুরফুরে আমেজ চারদিকে। আমাদের সচেতনতাই পারে কোরবানির পরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে।
আমরা যেন শুধু পশু কোরবানির মাধ্যমেই ত্যাগ শব্দটি সীমাবদ্ধ না রাখি। এই দিনের শিক্ষা যেন আমরা সারাজীবন ধরে রাখতে পারি।