পিকনিক শুনলেই কেমন এক আনন্দে নেচে ওঠে মন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, অফিসের বস আর গেটের দারোয়ান, বাড়ির ছোট মেয়ে আর তার গম্ভির চাচা, শিক্ষক-ছাত্র সবার মিলন মেলা হয়ে ওঠে পিকনিক।
যাকে কখনো হয়তো মানুষ হাসতে দেখেনি, পিকনিকে গিয়ে তিনিও শিশুদের সঙ্গে নাগোরদোলায় উঠে বসেন। রীতিমতো ছবি তোলার পোজ দেন।
পিকনিককে তো আমরা বলি ফ্যামিলি ডে, পুরো বছর দারুণ ব্যস্ততার পর যে দিনটির জন্য ভীষণ ভাবে অপেক্ষা করি তা হচ্ছে সেই বহু কাঙ্ক্ষিত পিকনিক।
শীতের দিনগুলোকেই সবাই বেছে নেই পিকনিকের জন্য। এসময়ে আমাদের পরিবারের ছোটদের পরীক্ষা হয়ে যায়, নতুন বছরে কাজের অনুপ্রেরণা পেতে বড়রাও চায় পুরো পরিবার, বন্ধু আর সহকর্মিদের নিয়ে মহা আনন্দে একটি দিন কাটাতে, যা আমাদের পুরো বছরের কাজের ক্লান্তি মুছে দিয়ে নতুন করে কাজের এনার্জি যোগায়।
যখন ঠিকই করছেন পিকনিকে যাবেন তখন বেশ কিছু বিষয় আগে থেকেই লক্ষ্য রাখুন:
যাওয়ার আগে জায়গাটি সম্পর্কে খোঁজ নিন। থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন তাও জেনে নিন।
নিজের গাড়ি নিয়ে দূরে যেতে হলে, কোনো সমস্যা আছে কিনা আগে চেক করুন। এক্সট্রা চাকা অবশ্যই গাড়িতে রাখবেন।
ব্যাগ গোছানোর সময়, পোশাক, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন ক্রিম নিয়ে নিন।
শহর থেকে দূরে গেলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে খেয়াল করে মোবাইল ফোন এবং চার্জার নিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ রাখুন সঙ্গে খাওয়ার স্যালাইন, কাজে লাগতেও পারে। এবার, আপনার বেড়ানোর সুন্দর স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে সঙ্গে নিতে হবে ক্যামেরা।
ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এবং এমনকি ক্রেডিট কার্ডের মত গুরুত্বপূর্ণ কাগজের ফটোকপি করে সঙ্গে রাখুন। যেন কোনো ধরণের দুর্ঘটনায় মানিব্যাগ বা পার্স চুরি হলে বা হরিয়ে গেলেও কোনো সমস্যা না হয়।
বাড়ি খালি রেখে গেলে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রির কিছু প্রিয় মুখ, যাদের অবদানে বাংলাদেশের ফ্যাশন ভাবনা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে, মিডিয়া পাড়ার সেই বন্ধুদের জন্য এমনই একটি বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল গত ২৪শে ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে। আয়োজক হিসেবে ছিলেন বিপ্লব সাহা (স্বত্তাধিকারী রঙ), কাজী কামরুল ইসলাম (স্বত্তাধিকারী বানথাই বারবার এন্ড বিউটি সেলুন), আফরোজা পারভীন (স্বত্তাধিকারী রেড বিউটি পার্লার)।