ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ভ্রমণে অরূনিমা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
ভ্রমণে অরূনিমা

নৌকা ভ্রমণ, ট্রেনে চড়ে ভূত দেখা, সুইমিং চেয়ারে বসে  ঘুরে ঘুরে চেনা অচেনা হাজারো পাখি দেখা। লাইফ বোটে বড় লেকে ভ্রমণ করা, ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ, দোলনায় বসে দোল খাওয়া।



দল বেধে গলফ, গ্রাস টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, বাস্কেট বল, ক্রিকেট, ফুটবল খেলা।      

লেকে দেশি সুসস্বাদু বড় বড় মাছ, সেই মাছ বড়শি দিয়ে ধরে বার-বি-কিউ করার অসাধারণ সুযোগ।

চিতই পিঠা, কুলী পিঠা, ছিটা পিঠা, পাটি সাপটা, রসের পিঠা, চিড়ার নাড়ু, মুড়ির নাড়ু খই, দুধ দিয়ে সকালের নাস্তা।

নিজস্ব তত্বাবধানে উৎপাদিত শাক-সবজি, ফলমূল অতিথিদের জন্য ভোজন তরী ও ব্যাংকুয়েট (ভাসমান) রেস্টুরেন্টে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার।

সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা, স্পা, ফুট মাসাজ, বডি মাসাজসহ অত্যাধুনিক আরও অনেক সুবিধা।  
   
এমন আতিথিয়তা নিতে কার না মন চায়? কিন্তু কোথায় আছে এতো আয়োজন তাইতো ভাবছেন।

এই সব আয়োজন নিয়ে ছয়টি ঋতুতেই নানা ঢঙে নড়াইলের অরূনিমা রিসোর্ট সেজে থাকে আপনারই অপেক্ষায়।

অরূনিমা আরো যেসকল সুবিধা এবং উন্নতমানের সেবা দিয়ে থাকে তা হচ্ছে- ফ্যামিলি ভেকেশন, হানিমুন প্যাকেজ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্টাডি ট্যুর। ছোট বড় সব ধরনের পার্টি করার সুযোগ, কর্পোরেট অফিসের বিভিন্ন করফারেন্স করার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

অরূনিমা রিসোর্টের কর্ণধার খবির উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশর প্রাকৃতিকভিত্তিতে ১ম স্থান অধিকারী এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইকো-রিসোর্ট ‘অরূনিমা রিসোর্ট গলফ্ ক্লাব’ অতিথিদের জন্য গুণগত এবং উন্নতমানের সেবা দিয়ে আসছে। অরূনিমা রিসোর্ট-এ আছে সুবিস্তৃত লেক আর লাখো দেশি আর পরিযায়ী পাখির মিলনমেলা।    

তিনি আরও বলেন, আবাসনের জন্য রয়েছে সকল ধরনের আধুনিক সুবিধা সংবলিত ইকো-কটেজ, শ্যালে এবং ডুপ্লেক্স ভিলা। মধুমতি নদীতে রয়েছে নৌ-বিহারের অনন্য সুযোগ।

প্রতিটি প্রোগ্রাম অত্যন্ত সাশ্রয়ীমূল্যে অতিথির চাহিদা মাফিক আয়োজন করা হয়ে থাকে।

অরূনিমায় যেভাবে আসবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে অরূনিমা’য় আসার সহজ একটি পথ রয়েছে। বিশ্বরোডে মাওয়া-কেওড়াকান্দি-ভাঙ্গা-ভাটিয়াপাড়া হয়ে গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলীয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে হাতের ডানে কিছুদূর গিয়ে বরফা ফেরিঘাট পার হলেই এই স্বপ্নপুরী ইকোপার্ক। আসতে সময় লাগবে সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা। খুলনা ও যশোর থেকে নড়াইলের কালিয়া হয়ে কান্ট্রিসাইডটিতে যেতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা।

বন্ধুরা, ছুটি কাটানোর কথা মনে হলেই আমাদের মাথায় আসে দু-একটি নির্দিষ্ট জায়গার নাম। আসলে আমাদের পুরো দেশটাই এতো সুন্দর, ঘুরে না দেখলে জীবনে অনেক সৌন্দর্যই অদেখা রয়ে যাবে।

এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যোগাযোগ: পানিপাড়া, নড়াগাতি, নড়াইল ০১৭১১৪২২০৩।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।