অতিরিক্ত স্থুলতা বর্তমান সময়ে সামাজিক লজ্জা এবং সংকোচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে স্থুলতার ফলে মানুষের মধ্যে হতাশার ঝুঁকি বাড়ায়।
কিউবার ডাক্তার সাল্ভাডোর অ্যালেনদে টিচিং হাসপাতালের চিকিৎসক আলবের্তো হার্নানদেজ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, অতিরিক্ত স্থুলতার ফলে একজন নারী অথবা পুরুষ তার ব্যক্তিত্বের পূর্ণ প্রকাশ ঘটাতে অনেক ক্ষেত্রেই সক্ষম হন না। আর এর ফলে তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়।
স্থুলতার ফলে শারীরিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। মানুষের মধ্যে নিজের সর্ম্পকে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির তৈরি এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে পারে।
গবেষণায় দেখা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীরা স্থুলতার জন্য বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এই রেশিও হচ্ছে, একজন পুরুষ অন্যদিকে দুইজন নারী।
এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শরীরের ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। তবে এসব ভুল পদক্ষেপের ফলে অনেক সময়ই ভালো ফল পাওয়া যায়না। বরং উল্টোটা হয়।
গবেষণায় স্থুলতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে। ডায়েটিং-এর মাধ্যমে খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন এবং শারীরিক কর্মকাণ্ড বাড়ানোর মাধ্যমে স্থুল ব্যক্তি পেতে পারেন কাঙক্ষিত স্বপ্নের ফিগার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ১৫ মে, ২০১১