ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

গরমে সুস্থ থাকা

ডা. আহমেদ বুলবুল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১১
গরমে সুস্থ থাকা

আবহাওয়ার  সাধারণ নিয়মেই এ সময়টিতে আমাদের দেশে তাপমাত্রা অন্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। তাই এ সময়ে আমরা বেশি গরম অনুভব করে থাকি।

ফলে পিপাসা মেটানোর জন্য পানি ও বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করে থাকি । যেখানে-সেখানে  অনিরাপদ পানি বা পানীয় পান করার কারণে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এ সময়ে পানিবাহিত রোগ যেমন : কলেরা, ডায়ারিয়া ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বেশি হয়।   হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। গ্রামের তুলনায় শহরে তাপমাত্রা বেশি থাকায় বিভিন্ন রোগ ও বিড়ম্বনা শহরেই বেশি দেখা যায়।

কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে এই গরমেও ভালো থাকা যায়।

  •     গরমে যেহেতু পানির পিপাসা বেড়ে যায় তাই বাড়িতে এবং বাইরে নিরাপদ পানি পান করা উচিত। যদি পানি কিনে খেতে হয় তাহলে সেটি ভালোভাবে দেখে কিনতে হবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে আমরা বেশি ঠা-া পানীয় পান করি, যা মোটেও উচিত নয়। ঠাণ্ডা পানি বা পানীয় পান করার কারণে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও পরে তা হজমে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এছাড়া শরীরের স্বাভাবিক তাপ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে।
  •     আমরা সাধারণত একবারেই পেটপুরে আহার করি। গরমে এই অভ্যাসের  সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। একসঙ্গে অনেক না খেয়ে অল্প করে বার বার খাওয়া যেতে পারে। সকালে স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি মৌসুমি ফল বা জুস খেতে পারেন। এতে আপনার কর্ম-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। দুপুর আর রাতের  খাবারের তালিকায় গরু-খাসির মাংস কমিয়ে মাছ রাখতে পারেন প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি শাকসবজি এবং  সালাদ। সালাদের  খনিজ পদার্থ শরীর ঠা-া রাখতে সাহায্য করে।
  •    যাদের ত্বক অধিক সংবেদনশীল অথবা রোদে ত্বক কালচে হয়ে যায় তারা সবুজ চা খেতে পারেন। সবুজ চা ত্বকে পোড়া বা কালচে রং দূর করতে সাহায্য করে।
  •     যদি কারও পনিবাহিত রোগ দেখা যায় তাহলে যত তাড়াতাড়ি  সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


বাংলাদেশ সময় ২০৪০, মে ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।