ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ছোট্ট ঘরেই সুখের আবেশ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
ছোট্ট ঘরেই সুখের আবেশ

আজকাল আমাদের সমাজে জীবন-যাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি সব সময়।

যৌথ পরিবারে বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয় নিয়ে বড় খোলা বাড়িতে থাকা। চারদিকে আম কাঠাল সুপারির বাগান। ঘাট বাধানো পুকুর...এসব এখন শুধুই স্বপ্ন। বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে একটি চাকরি তারপর প্রিয়জনের সঙ্গে নতুন সংসার, নতুন এক জীবন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শুধু দুজন। তাও আবার পুরো সংসার একরুমে। আয় যেমনই হোক অনেক সময় পছন্দমতো ঘর সাজাতে বাজেটে হিমশিম খেতে হয়। তবে আমরা যদি সংসার শুরুর প্রথম থেকেই ঘর সাজানো এবং ঘরের জায়গার সঠিক ব্যবহারের বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করি, তাহলে আর কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।

সংসার যত ছোটই হোক, মনের মতো করে সাজানোর স্বপ্ন থাকে সবারই। এর সঙ্গে আছে প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা ও স্থান সংকুলান। কিছুই তো আর পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায় না। এসব বিবেচনা করে আপনার ছোট্ট ঘরটি প্রয়োজন ও পছন্দের জিনিস দিয়ে সাজানোর কিছু ‘বুদ্ধি’ এখানে বাতলে দেওয়া হলো:

•    যদি কম্পিউটার থাকে তাহলে টেলিভিশন রাখার জায়গা বাঁচানোর জন্য কম্পিউটারেই টিভি কার্ড সংযুক্ত করা যায়।

•    কম্পিউটার টেবিল হবে ছোট কিন্তু তাকসহ, যেন প্রয়োজনীয় সিডি-ডিভিডিসহ গৃহসজ্জার জন্য ফটোফ্রেম বা ছোট শোপিস এতে রাখা যায়।

•    দৃষ্টিনন্দন ঝোলানো পাটের ব্যাগ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। এতে টুকিটাকি অনেক দরকারি জিনিসও রাখা যায়, যা এইকসঙ্গে ঘরের জায়গাও বাঁচায়।

•    ঘরে যদি ডাইনিং টেবিল রাখতে হয় তাহলে ছোট ফোল্ডিং টেবিল হলেই ভালো। জায়গার প্রয়োজনে ভাঁজ করেও রাখা যাবে।

•    সোফা অনেক বেশি জায়গা নিয়ে নেয়। এর বদলে ছোট ফোমের কুশন একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন এবং জায়গা সাশ্রয়ী। সঙ্গে বিভিন্ন রং-এর পিলো এর সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করবে।

•    বক্সসহ বিছানা উপকারী। এতে বিছানায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন।

•    আলনার বদলে দেয়াল হ্যাঙ্গার ঝোলানো যায়, যা ঘরের জায়গা বাঁচাবে।

•    ড্রেসিং টেবিল রাখতে চাইলে ছোট হওয়াই ভালো। ড্রেসিং টেবিলের তাকে একইসঙ্গে ছোট ছোট শোপিস, ফটোফ্রেম, ফুলদানি রেখে ঘরের জায়গা ও সৌন্দর্য উভয়ই বাড়ানো যায়।

•    ফুলদানিতে যথাসম্ভব পাতাবাহার এবং তাজা ফুল রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ঘরে একটা সতেজ ভাব থাকবে।

•    বারান্দা থাকলে এর আকার-আয়তন ও গঠন অনুযায়ী ছোট-বড় ফুল এবং পাতাবাহার গাছ রাখা যায়। তবে তাতে যেন বারান্দা গাছে বোঝাই না হয়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

•    বারান্দায় বসার জন্য বেত বা প্লাস্টিকের চেয়ার বা মোড়া রাখতে পারেন। পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে ঘরের ‘মুড’ বুঝে বেত বা স্টিলের দোলনাও ঝোলানো যেতে পারে।

ঘরের রং-এর সঙ্গে মিলিয়ে এর যে কোনো শেডের পর্দা ব্যবহার করুন। তবে কাপড় যেন ভারী না হয় এবং ঘরে সহজে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

ঘরের রং এবং আয়তনের সঙ্গে মিলিয়ে মেঝের জন্য ছোট বা মাঝারি গোলাকৃতির কার্পেট ব্যবহার করা যায়। ঘরের পুরোটার জন্য কার্পেট না রাখাই ভালো।

সামর্থ্য অনুযায়ী মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো সময় বাঁচায়। আবার রান্নাঘরের অনেক ছোট জিনিস, যা অযথা জায়গা দখল করে, সেসবের প্রয়োজনীয়তাও কমিয়ে দেয়।

তবে ঘর যেভাবেই সাজানো হোক না কেন, সংসার যদি একটি ঘর নিয়েই হয়, তাহলে অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়ে বোঝাই করবেন না। যতটা সম্ভব ফাঁকা এবং খোলামেলা রাখলো ঘরের সৌন্দর্য স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেড়ে যাবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।