ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘ওল্ড ইজ গোল্ড। ’ বাংলায়ও এমনই একটি প্রবাদ আছে, ‘পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে।
মানুষ প্রতিনিয়ত বদলায়। আর এই বদল ঘটে তার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। পাঁচ বছর আগে মানুষটি যেমন ছিলো পাঁচ বছর পরেও যদি ঠিক তেমনটি থাকা সম্ভব নয়। পোশাকও তেমন। একই পোশাক যেমন সারাজীবন পরা যায় না তেমনি একই ফ্যাশন দিনের পর দিন চলে না। ঋতু, আকাশের রং যেমন বদলায় মানুষের মনও বদলে যায়।
ষাটের দশকের ঢোলা প্যান্ট আর লম্বা কলারের শার্ট কী হালফ্যাশন হিসেবে দেখছি না? এই হলো ফ্যাশনের ফিউশন। আর হ্যাঁ, কথায় কথায় আমাদের ষাটের দশক চলে আসে। কী কবিতা কী গান কী সাহিত্য কী চলচ্চিত্র সবক্ষেত্রে যেন ষাটের দশকই ভাল ছিল।
নতুন স্টাইল চালু করার জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। নতুন সব আইডিয়া আর ঋতু অনুযায়ী কালার সেন্স। মানে কোন ঋতুতে কোন ধরনের পোশাক প্রযোজ্য সেটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা।
ছেঁড়া প্যান্ট পরা বেশ অনেক আগেই ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। ছেঁড়া স্থানে টুকরো জিন্সের কাপড় (যে রঙেরই হোক) দিয়ে পট্টি লাগিয়ে দিলেই খেল খতম। হালআমলে ভ্রুকুটি করেও কেউ তাকাবে না। লোকজন বলবে, সাচ এ লাভলি স্টাইল! রং ধূসর হয়ে গেলে আরও চমৎকার হবে।
কামিজ কেটেও আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। কতরকম ডিজাইনের পোশাক যে কামিজ থেকে বানানো সম্ভব তার ইয়ত্তা নেই। শুধু দরকার আইডিয়া আর ইচ্ছা। মেয়েদের পোশাক নিয়ে দুনিয়ায় এমনিতেই হাজার হাজার নিরীক্ষা প্রতিদিনই হচ্ছে।
তাই পুরাতন জামাকাপড় ফেলে না দিয়ে নতুন নতুন স্টাইলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন অনায়াসেই। পুরাতনের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে নতুন আর ভবিষ্যতের ফ্যাশন। আর দেশজ সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই পোশাক পরুন। আবরণ-আভরণ পুরনো হলেও গেয়ে ‘ওই নতুনের কেতন ওড়ে কাল-বোশেখী ঝড় তোরা সব জয়ধ্বনি কর!’