ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

স্বামী মগ্ন ফেসবুকে স্ত্রী ডুবেছে পরকীয়ায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
স্বামী মগ্ন ফেসবুকে স্ত্রী ডুবেছে পরকীয়ায়

সাব্বির আর অন্তরা(ছদ্মনাম) বেশ কয়েক বছর প্রেম, অতপর বিয়ে...। সুখের সংসার তাদের, ঘরে ফুটফুটে দুটি বাচ্চা।

সাব্বির অফিসের কাজে সারাদিন বাইরে থাকে। অন্তরা দুই সন্তানের যত্ন আর সংসার গোছাতে ব্যস্ত।

সারাদিনের বাচ্চাদের নিয়ে ঘটে যাওয়া এত্তো এত্তো গল্প আর নিজের মনের নানা কথা অন্তরা জমিয়ে রাখে সাব্বিরের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। কিন্তু আজকাল সাব্বির বাসায় ফিরেও স্মার্টফোনেই সময় কাটায়। আগে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করতো ওদের গল্প বলতো, অন্তরার সঙ্গে সারাদিনের কাজের কথাগুলো বলতো, অন্তরার কথাও শুনতো। কিন্তু এখন...

বাড়িতে ফিরে চা খেতে খেতেও তার চোখ ফেসবুকে, টিভি দেখার সময়ও ফেসবুকেই ডুবে থাকে সে। অন্তরা সংসার বা বাচ্চাদের বিষয়ে কোনো কথা বললেও হ্যাঁ-হু পর্যন্ত, আসলে কিছু বুঝে উত্তর দিয়েছে বলে অন্তরার মনে হয় না।

কোনো অতিথি এলে দায়সারা দুটি কথা বলে আবার সে ফেসবুক, এমন কি রাতে ঘুম ভেঙে গেলেও তার ফেসবুক চেক করা চাই। এই যখন অবস্থা অন্তরা আর সাব্বিরের ভেতরে দূরত্ব বাড়তে থাকে। অন্তরা কয়েকবার অভিযোগ করে, কখনো করে অভিমান। কিন্তু এগুলো খুবই হালকাভাবে নেয় সাব্বির। যেন সে যা করছে এটা খুব স্বাভাবিক আর অন্তরা অকারণে অনেক বেশি রিঅ্যাক্ট করছে।
 
অন্তরা কষ্ট পায়। কিন্তু এসব কথা কাউকে বলার মতোও নয়। সাব্বির তাকে কোনো কিছুতেই অপূর্ণ রাখেনি। বাচ্চাদের বিষয়ে সংসারের সব প্রয়োজনে কখনো অবহেলা করে না। তাহলে অন্তরা কেন এতো কষ্ট পায়? 

ফেসবুকে আসলে কি এমন আছে যেজন্য সাব্বির এমন করছে? ভাবে অন্তরা। বেশ কয়েক বছর আগে অন্তরার‍ও একটি ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছিলো। সাব্বিরই খুলে দিয়েছিলো, কখনো ব্যবহার করা হয়নি। আসলে সন্তানদের নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকার কারণে অন্তরা সময়ই পায়নি ফেসবুকে সময় কাটানোর।

একটু আগ্রহ থেকেই ফেসবুক ‍আইডিতে ঢোকে অন্তরা। দেখে বেশ কিছু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট জমে আছে। পরিচিত অনেককে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করে সে। এরপর পরিচিত নামগুলো সার্চ দেয় এরমধ্যে থাকে কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা, মডেল, কয়েকজন বড়মাপের সাংবাদিক, যাদের তার পছন্দ এদের কয়েকজনকে রিকোয়েস্ট পাঠায়। তাদের কয়েকজন বন্ধু তালিকায় ঠাঁইও দেয় অন্তরাকে।

অন্তরার সামনে যেন নতুন এক দুনিয়া। সে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে, বাচ্চাদের স্কুলে দিয়ে সে তার নতুন দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। এভাবেই পরিচয় হয় এক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান উপস্থাপকের সঙ্গে। তার সঙ্গে নিয়মিত কথা হতে থাকে। প্রথমদিকে শুধুই ভালোলাগা থেকে কথা হলেও, সে কথা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায় পরকীয়ার দিকে।

এবার পাঠক বন্ধুরা, আমরা আজকাল অতিরিক্ত স্মার্টফোন প্রেমী হয়ে যাচ্ছি…সেই সঙ্গে হালকা হচ্ছে মনের বন্ধন। পুরো পৃথিবীর খোঁজ তো আমরা রাখছি…কিন্তু একাকীত্বে আমার সেই প্রিয় সঙ্গীটি ডুকরে কাঁদছে কি না সে খবর কি রাখছি?

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।